| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি


৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     14 July, 2022     12:34 PM    


মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার লাফঝাঁপ যেন বন্ধ হচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে প্রতি মাসেই যেন মূল্যস্ফীতির হার আগের মাসকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, এ বছরের জুন মাসে গত বছরের জুন মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১। আর মে মাসের সাপেক্ষে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত পেট্রোল ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাতে মূল্যস্ফীতির হার এতটা বেড়েছে। পেট্রোলের দাম গত মাসে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। গড়ে এখন এক গ্যালন পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে ৫ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, জুন মাসে মূল্যস্ফীতির এই হার ১৯৮১ সালের নভেম্বর মাসের পর সর্বোচ্চ, মে মাসে যার হার ছিল ৮ দশমিক ৬। বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, মানুষ পণ্যের তুলনায় সেবায় বেশি অর্থ ব্যয় করতে শুরু করলে মূল্যস্ফীতির এই গরম কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আবার জিনসপত্রের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।

দুই বছর ধরে কোভিডের কারণে সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া মহামারি মোকাবিলায় মার্কিন সরকার যে পরিমাণ প্রণোদনা (সব মিলিয়ে ৫ লাখ কোটি ডলার) নাগরিকদের দিয়েছে, তাতে মানুষের হাতে বিপুল অর্থ জমে যায়। গত বছরের শেষ ভাগে কোভিড বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল হলে মানুষও হাত খুলে ব্যয় করতে শুরু করে। তার জেরে গত বছরের শেষ দিক থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে শুরু করে। এর এখন রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারের ওপরে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ দফায় দফায় নীতি সুদহার বৃদ্ধি করেছে। গত মাসেই তারা নীতি সুদহার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। বিশ্লেষকেরা বলেন, এবারের মূল্যস্ফীতি মূলত সরবরাহব্যবস্থার সংকটজনিত। সে জন্য নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাদের কথা এখন পর্যন্ত ফলে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে।