মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ২০ হাজার, মৃত্যু ৩৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 14 July, 2022 03:21 PM
বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভারতে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা এখনও ৪০-এর কাছাকাছি রয়েছে। আজ (১৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১৩৯ জন। যা বুধবারের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। বুধবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৬ হাজার ৯০৬। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের গণ্ডি পার করল। এতে করে মহামারির শুরু থেকে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৯ জনে। অন্যদিকে সংক্রমণের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। বুধবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এতে করে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৫৭ জনে।
তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬ জনে। অর্থাৎ গত একদিনেই ৩ হাজার ৬১৯ জন সক্রিয় রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছুটা আশা দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৮২ জন। বর্তমানে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫.১০ শতাংশ। মোট আক্রান্তের সংখ্যার ০.৩০ শতাংশই সক্রিয় রোগী। অন্যদিকে সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে থাকা পাঁচটি রাজ্য হচ্ছে- কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৬২.৫৬ শতাংশ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে এই পাঁচ রাজ্য থেকেই। আর কেবল কেরালা থেকেই দেশটির ১৭.৬ শতাংশ নতুন সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে পুরো ভারতের মতোই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭৯ জন। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। রাজ্যটিতে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৫৯ শতাংশে।