রহমত ডেস্ক 10 July, 2022 10:38 PM
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ১৭ জুলাই থেকে আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবো। সংলাপে আমরা প্রত্যেক নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আলাদা আলাদভাবে বসে মতবিনিময় করবো। অবশ্যই তাদের ইচ্ছা, পরিকল্পনার কথা আমরা শুনবো। যুক্তিসঙ্গত প্রত্যেকটি জিনিস মেনে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে। সংলাপে সবাইকে আনার জন্য সত্যিকার অর্থে কমিশনের চেষ্টা থাকবে।
আজ (১০ জুলাই) রবিবার বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৭ জুলাই থেকে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে ইসি সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে। এর আগে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম দেখে মতামত দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন-ইসি। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া এই সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় বিএনপিসহ ১১টি দল ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, সব দলের কাছে পাঠানো চিঠিতে সময় ও তারিখ উল্লেখ করা হবে। তাদেরকে আমাদের আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য চেষ্টা এবং সদিচ্ছার অভাব নেই। আপনারা দেখেছেন যে, কোনো কোনো দল ইতিপূর্বে আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। যদিও আমরা ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করেছিলাম। ভবিষ্যতে যদি কোনো দল এই ডাকে সাড়া দিতে না চান বা না আসেন। সত্যিকার অর্থে তাদের আনার চেষ্টা থাকবে। প্রয়োজনে আমি বা আমরা তাদের সাথে দেখা করতে পারি, টেলিফোনে কথা বলবো যে- আসেন, দেখেন, সিদ্ধান্ত আপনাদের। একটি ফরমাল টেবিলে আপনাদের মতটা প্রকাশ করেন। এই অনুরোধটা করবো। সিইসির সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে যে, তিনিও ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানাবেন। তারপর উনাদের ব্যাপার। শুধু খেয়াল রাখবেন যে, আমাদের প্রচেষ্টার কোনো অভাব আছে কিনা।
আরপিও সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আরপিওতে কিছু কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। যেটি আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। যাতে করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরো বাড়ানো যায়। নির্বাচন কমিশন যাতে সঠিকভাবে কর্মপরিধী বাস্তবায়ন করতে পারে। কিছুকিছু জায়গায় যে দুর্বলতা ছিল, সেটি হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নির্বাচনের কাজে যে সকল ব্যক্তিবর্গ নিয়োজিত থাকে, তারা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই বিষয়ে পরিস্কার কোনো বক্তব্য ছিল না। সেই ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেটি উল্লেখ করা হবে।
রোডম্যাপের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশন সচিবালয় থেকে একটি রোডম্যাপের খসড়া আমাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এটি বিচার বিবেচনা করবো। একটি যুযোগপযোগি রোডম্যাপ তৈরি করার চেষ্টা থাকবে। এই রোডম্যাপটা কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক নয়। এটি হবে বিশ্লেষণধর্মী এবং রোডম্যাপই কথা বলবে যে, কিভাবে প্রত্যেকটা পদক্ষেপে আমরা নির্বাচনকে বাস্তবায়ন করবো।