রহমত ডেস্ক 10 July, 2022 08:43 PM
দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারাও ঈদের আনন্দে শামিল হয়েছেন। টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়েছে ঈদের আমেজ। ঈদের আমেজ আর আনন্দের সঙ্গেও মিশে ছিল নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি। মোনাজাতে অংশ নেয়া রোহিঙ্গারা তাদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিচার চেয়ে এবং নিজ দেশে মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান তারা।
আজ (১০ জুলাই) রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন রোহিঙ্গারা। ঈদের নামাজ আদায়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন ইমাম ও মুসল্লিরা।
বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকে নতুন জামাকাপড় পরে ক্যাম্পের রাস্তায় হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দে মেতে উঠেছে শিশুরা। শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও নতুন জামাকামড় পরে ঈদের নামাজে অংশ নেন।
রোহিঙ্গাদের দেওয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারের মোট ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩২০টি মসজিদ ও ৯৪০টি নূরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব মসজিদ ও নূরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
৮ এপিবিএন-এর অতিরিক্ত অধিনায়ক (মিডিয়া) কামরান হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা মানতে আগে থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা ঈদ উদযাপনে মেতে উঠেছেন। তবে কেউ যাতে ক্যাম্প থেকে বাইরে না যায়, সেজন্য তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেখানে নজরদারি রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কোরবানি ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গাদের বিদ্রেহী সংগঠন আরসা রাখাইনে ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর ব্যাপক নিপীড়নমূলক অভিযান শুরু করে। সেই নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।