| |
               

মূল পাতা জাতীয় কোরবানির পশু পরিবহনে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু


কোরবানির পশু পরিবহনে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু


রহমত ডেস্ক     07 July, 2022     08:55 AM    


আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু স্বল্পমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে।বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে এই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যায়। এর আগে বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার এই পশুবাহী ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রেনটি কাঁকনহাট, রাজশাহী, চাটমোহর, উল্লাপাড়া, বঙ্গবন্ধু সেতু (পশ্চিম), জয়দেবপুর ও টঙ্গী হয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এসে পৌঁছাবে ট্রেনটি। পূর্বে পশু পরিবহনে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতো খামারি ও পশু ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় সময়, পরিবহন খরচ ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে তারা। এই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া ১১ হাজার ৮৯০ টাকা। আর প্রতিটি গরুর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯১ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রতিটি ছাগলের ভাড়া ২৯৬ টাকা। একটি ওয়াগনে ২০টি করে পশু বহন করা যাবে। আর একটি ক্যাটল ট্রেনে তিন শতাধিক পশু পরিবহন করা যাবে বলেও জানিয়েছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের খামারি ও পশু ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে এই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনটি রওনা হয়। পরে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৪টি ওয়াগনে ৩৬টি গরু ও ৯৬টি ছাগল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনটি। নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে চালু করা হয়েছে একজোড়া ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে আসছে বিকাল সাড়ে ৪টায়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফিরে এসে ট্রেনটি একই গন্তব্যে যাবে। ঢাকা থেকে ফেরার পথে ট্রেনটি ‘ক্যাটল স্পেশাল-১’ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা যাবার পথে ট্রেনটি ‘ক্যাটল স্পেশাল-২’ নামে চলবে। যাত্রাপথে ট্রেনটি কাঁকনহাট, রাজশাহী, চাটমোহর, উল্লাপাড়া, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম, জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে থামবে। এছাড়া খামারী ও ব্যবসায়ীদের চাহিদামত যে কোন স্টেশনে ট্রেনটির বিরতি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে আগেই কন্ট্রোল অফিস ও স্টেশন মাস্টারকে জানাতে হবে। খামারী ও ব্যবসায়ীদের উপকারের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত বলে জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।