রহমত ডেস্ক 07 July, 2022 11:43 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান যথার্থ। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। ফ্রান্সসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমালোচকদেরকে অনুরোধ জানাবো তারাও যাতে এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী জ্বালানী সংকট শুরু হয়েছে এবং জ্বালানী ও এর পরিবহন মূল্য দুটিই অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। আজকে অস্ট্রেলিয়াতে লাখ লাখ পরিবারকে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য। সেখানে কোনো অঙ্গরাজ্যে ১০ ঘন্টা, কোনো অঙ্গরাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে। ইউরোপে, যেখানে কোনো সময় বিদ্যুৎ যায় না সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে। জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সদস্য ফ্রান্সের মতো দেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিদ্যুৎখাত মূলত জ্বালানী নির্ভর। কয়লাভিত্তিক সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরিভাবে উৎপাদনে আসেনি। সে কারণে সরকার গত বছর বিদ্যুৎখাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানী খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এরপরও উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, হ্যারিকেন এখন সাজিয়ে রাখার বিষয়, কারণ হ্যারিকেনের ব্যবহার নেই। আমরা সরকার গঠন করার আগে দেশে ৪০ শতাংশের কম মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আজকে শতভাগ মানুষের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। কিন্তু দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও সেটি সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার আহ্বান কোনোভাবেই ভুল নয়। অর্থাৎ আমি যখন রুমে থাকবো না তখন বাতিটা জ্বালিয়ে রাখা বা পাখাটা চালিয়ে রাখা কখনই সমীচীন নয়। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের পর যারা সমালোচনা করছেন সেই বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য, আপনারা কি করেছিলেন, মানুষ যখন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছিলো তখন গুলি করে মানুষকে হত্যা করেছেন।
বিএনপির আমলের কয়েকটি সংবাদপত্রের ছবি দেখিয়ে সংবাদ উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ না পেয়ে নরসিংদীতে জনতার ভাংচুর, পুলিশের গুলি। বিক্ষুব্ধ কনসাটে পুলিশের তান্ডব, বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল করার অপরাধে জনতা নিহত। ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট ঢাকায়, মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্লাস হচ্ছে। চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও-হ্যারিকেন, কুপি নিয়ে বিক্ষোভ। আর যারা বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন, কারণে-অকারণে সমালোচনা করেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে আপনাদের এক সময়ের সমালোচনা এখন আপনাদেরই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সুতরাং এই ক্ষেত্রেও অহেতুক সমালোচনা করবেন না। তিনি এবং বিএনপি নেতারা তাহলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বকবক করেন কিভাবে বাক স্বাধীনতা যদি না থাকে। আর ‘পদ্মা সেতু হাজারটা বানালেও লাভ হবে না’ -এটি কোনো দায়িত্বশীল শীর্ষ রাজনীতিবিদের বক্তব্য হতে পারে না। রাস্তার আইল্যান্ডের ওপর দাঁড়িয়ে কিছু পাগল বক্তব্য দেয়, এমনটি তাদের বক্তব্য হতে পারে।