রহমত ডেস্ক 05 July, 2022 02:43 PM
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, চলতি বছর যারা কোরবানি দেবেন, তারা নিজেরাই পশুর চামড়ায় লবণ দেবেন অথবা যাদেরকে চামড়া দেবেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ এবং লবণ দেওয়ার বিষয়টি আমরা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছি। কোরবানি দাতা যেন লবণের বিষয়টিতে সচেতন হয়। তারা নিজেরাই লবণ কিনে নিজেরাই লবণ দেবেন অথবা এই চামড়াটা তারা যাদেরকে দেবেন, এতিমখানা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অথবা মৌসুমি ব্যবসায়ী, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে লবণ দেওয়া নিশ্চিত করবেন।
মঙ্গলবার (৫ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, আমরা আশা করছি এ বছর লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করতে সক্ষম হব। সেক্ষেত্রে আমাদের চামড়ার গুণগতমান বজায় থাকবে। আমরা আমাদের রপ্তানি আয়সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে সক্ষম হব। ২০১৬ সালের পর থেকে চামড়ার দাম নিম্নমুখী, আমাদের হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর হয়ে যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যায়, এক্ষেত্রে সবগুলোর একটা ভূমিকা ছিল। কিন্তু এই বছর আমরা প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে ৭ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি। ছাগলের চামড়ার ক্ষেত্রে তিন টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি। চামড়া এবং চামড়া জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে এবছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে অনেক। এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা কিন্তু ধারাবাহিকভাবে গরু এবং ছাগলের চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব।
তিনি আরো বলেন, আসলে বাজারে যোগান এবং চাহিদার একটি বিষয় কাজ করে সবসময়। একই দিনে এত বেশি চামড়া বাজারে আসে, ওভার সাপ্লাই হয়ে যায়। এর ফলে কিছু বিচ্যুতি হয়ত অনেক জায়গায় হতে পারে। কিন্তু আমাদের স্থানীয় সরকার থেকে যত প্রতিষ্ঠান আছে এবং স্থানীয় প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক, উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিকভাবে মনিটরিং সব সময় জারি থাকবে। আমরা চেষ্টা করব এটা যথাসাধ্য উন্নত ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসার জন্য।