‘শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা সমাজের সবাই লজ্জিত’

সাভারের হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ছাত্র কর্তৃক অনৈতিক কাজে শিক্ষক বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্র শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার মত ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শিক্ষকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনা সমাজের সবাইকে লজ্জিত করেছে।  আজ (২৯ জুন) বুধবার  রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ঢাবি’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘ডাক্তার বানাচ্ছি, ইঞ্জিনিয়ার বানাচ্ছি, মানুষ বানাচ্ছি কতটুকু’ তার এ কথার ওয়েট অনেক। তিনি সত্যিই বলেছেন, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন ছাত্রকে মানুষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকৃত মানুষ বানাতে হলে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এজন্য আমরা বার বার বলে আসছি শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হোক। শিক্ষার সাথে দীক্ষা না থাকলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। আর প্রকৃত দীক্ষা হলো ইসলাম শিক্ষায়। ইসলাম একজন মানুষকে প্রকৃত অর্থেই মানুষরূপে গড়ে তুলে। আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে মানুষগুলো কত জাহেল, বর্বর ছিলো। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা নিয়ে তারা সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছিল।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের এখন মানবিকতার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের মানবিকতার শিক্ষাটা বড় দরকার। ছাত্রছাত্রীদের মানবিকতার শিক্ষা, সততার শিক্ষা, মূল্যবোধের শিক্ষা, মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা, দুর্নীতি করলে তার কী কুফল তার শিক্ষা পাঠ্যক্রমে গুরুত্ব নেই। এটাই এমন অবক্ষয়ের কারণ। নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে সরকারের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে। সবার উপস্থিতিতে একজন অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানো সম্ভব কীভাবে? অধ্যক্ষ কোনো অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক পথ রয়েছে। মূল্যবোধের চরম এ অবক্ষয় থেকে ছাত্র ও যুবসমাজকে রক্ষার জন্য ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান চরমোনাই পীর।