রহমত ডেস্ক 26 June, 2022 06:33 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ও বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেছেন, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, জামালপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের ১৭টি জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের পক্ষে তেমন কোন সহযোগিতার দেখা মিলছে না। অসহায় ও দুর্যোগে বিপন্ন মানুষ অসহায় দিনাতিপাত করছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা পানির কারণে দেশে প্লাবন দেখা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব নদীগুলো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজের সব সুইচ গেইট খুলে দেওয়ায় পানি ঢুকে সব কিছু প্লাবিত হচ্ছে। বানভাসি মানুষকে লাল সংকেত দেখিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। তারপরও সরকার বলে দিল্লী তাদের পরম বন্ধু। সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে দেশের মানুষ পানি আগ্রাসনের শিকার হয়ে মানবেতর জীভন যাপন করছে। তিনি বলেন, সরকার অসহায় বন্যার্ত মানুষের জন্য কিছু করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা উল্লাসে মত্ত। দেশের অধিকাংশ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। এমতাবস্থায় উল্লাস না করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো তাদের জন্য উচিত ছিলো। জনগণের প্রতি তাদের কোন দাযবদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না।
আজ (২৬ জুন) রবিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সর পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলভাষা, পাঁচগাতি, যাত্রাপুর ভোগাদহ, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে হাদিয়া বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়ধ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম পিয়াল, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাদের, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন জেহাদী প্রমুখ।
এদিকে, নেত্রকোনায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে দলের দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী’র নেতৃত্বে হাদিয়া বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মুফতী ওয়ালী উল্লাহ, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সহকারী দফতর সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন, সহকারী অর্থ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামসহ নেত্রকোনা জেলা নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর মধ্যে নেত্রকোনা অন্যতম। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর থেকে এ অঞ্চলের দূর্গতদের মাঝে হাদিয়া (ত্রাণ) তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের সহযোগি সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় চরমোনাই পীরের পক্ষ থেকে ৫ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।