স্বাস্থ্য ডেস্ক 25 June, 2022 09:19 PM
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে বন্যাজনিত মৃত্যু বাড়ছে। টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৭ মে থেকে ২৫ জুন দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯ জন। তবে সিলেট বিভাগে বন্যায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (৫১ জন) হয়েছে। এসব জেলায় পানিতে ডুবে ও বজ্রপাতে বেশি মৃত্যু হচ্ছে। এই বিভাগগুলোতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ডায়রিয়াজনিত কোনো মৃত্যু না হলেও সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আজ (২৫ জুন) শনিবার বিকালে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (২৪ জুন) পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে মোট চার হাজার ৬১৬ জন আক্রান্ত থাকলেও শনিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার ২০২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ১৭ মে থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন হাজার ৬৬৪ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সেই সঙ্গে বন্যায় সৃষ্ট চোখের রোগ আরটিআইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন। তবে এই রোগে এখনও কারও মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।গত ১৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জনই মারা গেছেন। এছাড়া সাপের কামড়ের শিকার ছয়জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সবমিলিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন আরও ৫৬ জন।
এদিকে, বিভাগ পর্যায়ে মৃত্যু বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে সিলেট। বন্যায় এই বিভাগে মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২৭। এছাড়া রংপুর বিভাগে চারজনসহ এখন পর্যন্ত মোট ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, জেলাভিত্তিক মৃত্যু বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। গত ১৭ মে থেকে ২৫ জুনের মধ্যে এই জেলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি সিলেট জেলায় বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নেত্রকোনা ও জামালপুরে নয়জন ছাড়াও ময়মনসিংহে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর শেরপুর জেলায় চারজনসহ কুড়িগ্রামে তিনজন এবং লালমনিরহাটে বন্যায় একজন মারা গেছেন।