| |
               

মূল পাতা জাতীয় জলাবদ্ধতার জন্য নগরবাসী দায়ী : চসিক মেয়র


জলাবদ্ধতার জন্য নগরবাসী দায়ী : চসিক মেয়র


রহমত ডেস্ক     22 June, 2022     12:30 PM    


জলাবদ্ধতার জন্য নগরবাসী দায়ী নগরবাসীকে দায়ী করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, চকবাজার, ফুলতলা, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, খাজা রোড, পাঠানিয়াগোদা এলাকায় মানব সৃষ্ট বর্জ্যের কারণে খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এসব এলাকার খালগুলো সিডিএ মেগা প্রকল্পের আওতাধীন হওয়া সত্ত্বেও জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সিটি করপোরেশন খালগুলো থেকে আবর্জনা ও মাটি উত্তোলন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য জনগণের অচেতনতার কারণে বর্ষা শুরু হবার আগে পরিষ্কার করা এসব খালে আবার বর্জ্য ফেলার কারণে তা আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এ কারণে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি প্রকট আকার ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে নগরের পশ্চিম বাকলিয়ার শান্তিনগর, চন্দনপুরা, কল্পলোক আবাসিক এলাকা ও চাক্তাই তক্তার পোল এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকেদর এসব কথা বলেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত শুক্রবারে ভারী বর্ষণে রুপ নেয়। বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢলে নগরের ডিসি রোড, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, কাতালগঞ্জ, দক্ষিণ পতেঙ্গা, উত্তর কাট্টলির হিন্দুর পাড়া, হালিশহরসহ বেশ কিছু এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়।

এদিকে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় মেয়রের বাড়িও হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। গত সোমবার বৃষ্টি কমে এলেও নগরের নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো দিনভর জলমগ্ন ছিল। ফলে সৃষ্ট জলজটে স্থবির হয়ে পরে যানবাহন চলাচল। অন্যদিকে বৃষ্টি বন্ধের পরও দিনভর পানি জমে থাকার কারণ খুঁজতে নগরের পশ্চিম বাকলিয়া শান্তিনগর, চন্দনপুরা, কল্পলোক আবাসিক এলাকা ও চাক্তাই তক্তার পোল এলাকা পরিদর্শনে যান মেয়র।

পরিদর্শকালে মেয়র রেজাউল করিম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেবা সংস্থাগুলোর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই মুখ্য কাজ। নগরে যেসব সেবা সংস্থাগুলো আছে তাদেরকে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেষ্ট থাকতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল ও মাটি ভরাট করা হয়েছে। অনেকগুলো বাঁধ অপসারণ করা হলেও কিছু কিছু অংশে বাঁধ ও মাটির স্তুপ প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে রাখতে হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। এখানে কোনো প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কথাবার্তা সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল। দুর্যোগ দুর্বিপাক হোক না কেনো আমাদের উচিত যার যার অবস্থান থেকে সমন্বয়ের মাধ্যমে মোকাবেলা করা।

এ সময় মেয়র হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, সরকার ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১’ এর মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করেছে। ভবিষ্যতে দায়ীদের বিরুদ্ধে এ আইন প্রয়োগ করতে আমরা বাধ্য হবো। এখানে যে যত শক্তিধর হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা।