| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে: সিইসি


সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে: সিইসি


রহমত ডেস্ক     13 June, 2022     04:12 PM    


সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সব দেশেই তো দলীয় সরকারের অধীনেই হচ্ছে। ভারতেও হচ্ছে, বিলেতেও হচ্ছে, আমেরিকাতে হচ্ছে। সরকার কিন্তু সরকার। দল ভিন্ন জিনিস। আমরা যদি এই বিভাজনটা স্পষ্ট করতে পারি, এই মেসেজটা দিতে পারি, যখন কেবিনেট যেটাকে বলা হয়- রাষ্ট্রপতি থেকে বা প্রধানমন্ত্রী থেকে ডেপুটি.., এটাই কিন্তু মূল সরকার। বাকি যারা আছে সেটা কিন্তু আমলাতন্ত্র। কাজেই যে সরকার যেটা আছে, তারা কিন্তু শপথ নিয়েছেন, সংবিধানিক অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবো, সম আচরণ করবো, পক্ষিপাতিত্ব করবো না। উনারা বলেন নাই যে আমরা আমাদের দলকে আগামীতে আরো বেশি করে হেল্প করবো। স্বভাবই উনারা বলেন না। আমার বিশ্বাস উনারা উনাদের শপথটা জানেন। নির্বাচনের সময় অন্তত একটি সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের স্বার্থে উনারা নির্বাচনকালীন সরকারের থেকে সরকারের মতোই আচরণ করবেন। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে কোনো দলের মন্ত্রী হিসেবে নয়।

সোমবার (১৩ জুন) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)- এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। 

নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার। অপজিশন থেকে যে দাবিগুলো করা হচ্ছে এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই, যে তত্বাবধায়ক সরকার, যে এই সব বিভিন্ন সরকার, সেটা কিন্তু আমাদের বিষয় নয়। এটা সাংবিধানিক বিষয় পলিটিক্যাল লিডাররা যদি একমত হন তারা দেখবেন। আমার কাছে মনে হয় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বর্তমানে যে আইন আছে, সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার। তার সঙ্গে আমাদের ইন্টারঅ্যাকশন বেড়ে যাবে। একজন মন্ত্রী কিন্তু দলের নয়। আমরা চাই তারা আমাদের সহযোগিতা করুক।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীণ সরকার বর্তমান যে সরকার তার ধরণ পাল্টে যাবে, তখন পলিসি নিয়ে উনারা কাজ করবেন না। পৃথিবীর সব দেশেই এটা আছে। নির্বাচনের কাজে আমাদেরকে সহায়তা করতে হবে।

সিইসি আলো বলেন, আইন কানুন যেটা আছে সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য। সকল নির্বাচনে আমরা সরকারের কাছে সহয়তাগুলো চাইবো এবং অবশ্যই সরকার সে সহযোগিতাগুলো করবে বলে আশাকরি। সহায়তা মূলত পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন কেন্দ্রীক আর ডিফেন্স মিনিস্ট্রি। অন্য কোনো মিনিস্ট্রি নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোনো দরকার নেই। জনপ্রশাসন যেহেতু জেলা মেজিস্ট্রেটকে হ্যান্ডেল করেন, তারপর পুলিশ প্রশাসনকে হ্যান্ডেল করেন হোম মিনিস্ট্রি, আর সশন্ত্র বাহিনীকে যদি ইনভলব করা হয়, তাহলে ডিফেন্স মিনিস্ট্রি লাগবে। আর একই কথা বারবার বলেছিল অসংখ্যকবার, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হওয়া খুবই প্রয়োজন। যেভাবেই হোক যদি মূল বিরোধী দল নির্বাচনে না আসে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ হোক, অস্বচ্ছ হোক, যাই হোক ওটার কিন্তু গুরুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা অনেক কমে যাবে। কারণ ডেমোক্রেসির মূল কথাই হচ্ছে পজিশন এবং অপজিশন। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে যেটা দেখি সেটা কিন্তু গভমেন্ট নয়। তারপর জয়ী হয়ে যেটা পার্লামেন্টে আসে দ্যাট ইজ পার্ট অব দি গভমেন্ট, লেজিসলেটার এবং লেজিসলেটার কিন্তু যারা বিরোধী দলে থাকেন তারা ট্রেজারি বেঞ্চ। তাদের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। এই সমালোচনার মাধ্যমেই কিন্তু এক ধরণের জবাবদিহিতা গড়ে ওঠে এবং সতর্কতা হয়। এজন্য আমরা চাই নির্বাচনটা অংশহগ্রহণমূলক হোক।