রহমত ডেস্ক 07 June, 2022 09:30 PM
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গেলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ হামলা নারকীয় এবং ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের সহমর্মিতা জানাতে হাসপাতালে দেখতে গেলে জুনায়েদ সাকির ওপর হামলা কেবলমাত্র কাপুরুষদের দ্বারাই সম্ভব। এই হামলা সভ্যতা ও মানবিক মূল্যবোধের চরম বিরোধী। সরকার সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে যে দেশ চালাতে চায়, আজকের ঘটনা তারই প্রমাণ। এই হামলা সরকারের সকল ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর কৌশল। আজ (৭ জুন) মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পেটোয়া সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে জনপদের পর জনপদ দাপিয়ে বেড়ানোর পর হাসপাতালেও এদের রক্তাক্ত ছোবল থেকে নিস্তার পাচ্ছে না বিরোধী দল-মতের মানুষ, এটি কীসের আলামত ? ভোট, গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিরোধী শক্তিকে আক্রমণ করে ধ্বংস করার তাদের অপচেষ্টা থেমে নেই। সরকার তাদের সকল শক্তি দিয়ে একের পর এক অশুভ পরিকল্পনা এঁটে যাচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে জন অসন্তোষকে চাপা দিতেই সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে কি না সেটি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই জুনায়েদ সাকির আহতদের দেখতে যাওয়াকে ক্ষমতাসীন মহল মোটেও বরদাশত করতে পারেনি। হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে জুনায়েদ সাকির ওপর আক্রমণ করে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এখন প্রতিরোধের সময় চলে এসেছে। অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ-চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এই হামলায় মোট ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। হামলায় আহতরা হলেন- গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কারের ইমরান ইমু, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কার্যকারী সদস্য কামরুন নাহার ডলি, যুবঅধিকার পরিষদের বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের নাহিন ইসলাম গাজী, চট্টগ্রাম গণসংহতির জেলা হাসান মারুফ রুমী, চট্টগ্রাম মহানগর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল প্রমুখ।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, সকালে আমরা সীতাকুণ্ড গিয়েছিলাম। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দেখতে যাই। আমরা যখন গাড়িতে উঠি তখন তারা গাড়িতে হামলা করে। আমি গাড়িতে ছিলাম। ইট দিয়ে হামলা করেছে। নেতাকর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ২০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এ সময় হামলার শিকার হয়েছেন। হামলার সময় দুজন পুলিশ সদস্য আমাদের রক্ষা করেছেন। অন্যদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না।