| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য হতাহতদের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


হতাহতদের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্য ডেস্ক     05 June, 2022     02:41 PM    


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হতাহতদের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। খবর পেয়েছি ১৪ জনের মতো নিহত হয়েছেন (শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৭)। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আজ (৫ জুন) রবিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস আয়োজিত ১১তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তারা সবাই কনটেইনার ডিপোর বাইরে ছিলেন। ভেতরে যারা ছিলেন তাদের এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা হতাহতদের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, হতাহতদের সেবা দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে দুজন রোগী এসেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ২৪ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি মূলত পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে। এখান থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য কনটেইনারগুলো প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। ৩৮ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ঘটনার সময় সেখানে ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় অন্তত ২০০ শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন বলেও জানা গেছে। তবে সেখানে ঠিক কত সংখ্যক মানুষ তখন ছিলেন তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।