রহমত ডেস্ক 01 June, 2022 06:42 PM
সরকার পরিবর্তনে বৃহত্তর আন্দোলনের প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কাছে ৩১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ (১ জুন) বুধবার বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে বিএনপির সাথে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা জানান।
এর আগে সরকার পরিবর্তনে বৃহত্তর আন্দোলনের প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সঙ্গে সংলাপ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে প্রায় পৌনে দুই ঘন্টাব্যাপী এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন। ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে সাইফুল হকের সঙ্গে আকবর খান, বহ্নিশিখা জামালী, আনসার আলী দুলাল, আবু হাসান টিপু, মীর মোশাররফ হোসেন মোস্তাক, মাহমুদ হোসেন, অ্যাপোল জামালী। এর আগে গত ২৪ মে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ২৭ মে বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং ৩১ মে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের অংশ হিসেবে এসব বৈঠক করছে বিএনপি।
সাইফুল হক জানান, সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনেও বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। সামগ্রিকভাবে সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আর আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে ৩১ দফা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে পেশ করেছি। গত ২০১৪ এবং ১৮ সালের মতো আরেকটা ব্যর্থ নির্বাচনের দায় বাংলাদেশের মানুষ ও জনগণ গ্রহণ করতে পারবে না। আমরা একমত হয়েছি, বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি যে পর্যায়ে- সেখানে দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার সুযোগ নেই। তাই নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। এসব বিষয়ে আমরা একমত পোষণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, গণ আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে যদি পদত্যাগে বাধ্য করা না যায় তাহলে মানুষ ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যাবে না। কোনো দল পরিবর্তন করার জন্য এই আন্দোলন নয়। রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং তার পরিবর্তনের জন্য এ আন্দোলন। একই সাথে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কারসহ রাষ্ট্র প্রশাসনের গণতান্ত্রিক সংস্কার, সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সংস্কার করা দরকার। এসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। গতানুগতিক একটা বিশেষ সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে আরেকটা গতানুগতিক সরকার গঠনের জন্য এ আন্দোলন নয়, এ মুহূর্তে আমরা প্রত্যেকে যায় যায় অবস্থা থেকে একেবারে ন্যুনতম ইস্যুতে- যেমন ভোটাধিকারের প্রশ্ন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা- সেই কাজগুলো আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করবো। এছাড়া যুগপৎ আন্দোনের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত সম্পূর্ণ হয়েছে। ভবিষ্যতে এটা আরো আমরা জোরদার করবো।