স্বাস্থ্য ডেস্ক 01 June, 2022 04:49 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে অসংক্রামক রোগের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, করোনার সময়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করতে পারিনি, তাই এ সুযোগে অনেকটাই বেড়েছে। এখন আমরা অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করছি। দেশে অসংক্রামক রোগে ৬৭ ভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, তাই এটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা শুধুমাত্র সরকারিতেই থাকে না, অর্ধেক হয় প্রায় বেসরকারিতে। কোভিডে বেসরকারি হাসপাতালগুলোও অনেক ভূমিকা রেখেছে।
আজ (১ জুন) বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারর কল্যাণ দিবস-২০২২ উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদম্য যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউর অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সারা দেশে আমাদের অভিযান চলছে। আমরা কাউকে হেনস্থা করতে চাচ্ছি না। যারা ভালো করছেন তাদের সহযোগিতা করব। কিন্তু যারা অন্যায় করবেন আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় ১১ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ করছে। এর মধ্যে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদের কারণে যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয় সে দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া গেছে। এখনো ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজের বাইরে। আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। বুস্টার নিয়ে আমরা আরও সুরক্ষিত থাকব।