| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব নির্বাচনের সময় ঘোষণা পাকিস্তানে, মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা


নির্বাচনের সময় ঘোষণা পাকিস্তানে, মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     30 May, 2022     09:58 AM    


পাকিস্তানে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন হবে আগামী বছরের (২০২৩) আগস্টে। তার আগ পর্যন্ত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী নেতা ইমরান খানের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা বা বোঝাপড়ায় যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকার।

পাশাপাশি, পূর্ব অনুমতি ছাড়া রাজধানী ইসলাবাদে রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ আইন করে নিষিদ্ধ করছে পাকিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। এ বিষয়ে ইসলামাবাদে আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে রোববার (২৯ মে) বৈঠকও হয়েছে।

রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আমরা আর কোনো আলোচনায় যেতে চাই না; যেহেতু আপনি নির্বাচনের সময় জানতে চেয়েছিলেন, তাই বলছি— মনযোগ দিয়ে শুনুন এবং লিখে রাখুন—আগামী পার্লামেন্টারি নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের আগস্টে।’

গত ২৬ মে ইসলামাবাদে এক দলীয় সমাবেশে আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য ৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই ইনসাফ পাকিস্তানের (টিআইপি) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যিনি গত এপ্রিলের প্রথম দিকে পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন।

বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে ইমরান খান বলেছিলেন, পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা হলে ৬ দিন পর পুরো জাতিকে নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবেন তিনি।

রোববার ইমরানের সেই আল্টিমেটামেরই জবাব দিলেন মরিয়ম, পাশাপাশি বর্তমান বিরোধী নেতার সঙ্গে আলোচনায় না যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

রাজধানী ইসলামাবাদে রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিল স্থায়ীভাবে বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। রোববার দেশটির বর্তমান আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশটির বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।

বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল যদি রাজধানীতে মিছিল-সমাবেশ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই সেই দলকে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে এবং অবশ্যই পুলিশ ওপর হামলা থেকে বিরত থাকা রাষ্ট্রের কোনো সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।