জ্বালানি তেলের পর ভারতে এবার কমলো ভোজ্যতেলের দাম

জ্বালানি তেলের পর ভারতে এবার কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই ভারতে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে সয়াবিন, পাম, সরিষা- রান্নায় ব্যবহৃত প্রায় সব ধরনের তেলের দামই উল্লেখযোগ্য হারে কমতে দেখা গেছে।

সোমবার (২৩ মে) ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটিতে বেশিরভাগ তেলবীজের দাম কমেছে।

ফলে কাচি ঘানি সরিষার তেলের দাম কমেছে প্রতি টিনে (১৫ কেজি) ৪০ রুপি। এছাড়া সয়াবিনের দাম কমেছে লিটারপ্রতি চার থেকে পাঁচ রুপি।

সরিষার দাম প্রতি কুইন্টালে (১০০ কেজি) ১০০ রুপি কমে ৭ হাজার ৫১৫ থেকে ৭ হাজার ৫৬৫ রুপি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরিষা দাদরি তেলের দাম ২৫০ রুপি কমিয়ে কুইন্টালপ্রতি ১৫ হাজার ৫০ রুপি করা হয়েছে। সরিষা পাক্কি ঘানি ও কাচ্চি ঘানি তেলের দাম প্রতি টিনে (১৫ কেজি) ৪০ রুপি কমিয়ে যথাক্রমে ২ হাজার ৩৬৫ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ এবং ২ হাজার ৪০৫ থেকে ২ হাজার ৫১৫ রুপি হয়েছে।

ভারতে সয়াবিন দানা ও সয়াবিন তেলের দামও প্রতি কুইন্টালে কমেছে। দেশটিতে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি কুইন্টালে ৪০০ থেকে ৫০০ রুপি কমানো হয়েছে। দিল্লির পাইকারি বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি কুইন্টালে ৪০০ রুপি কমে ১৬ হাজার ৬৫০ রুপি হয়েছে। অর্থাৎ, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে চার রুপি কমেছে।

দেশটিতে অপরিশোধিত পাম তেলের দাম প্রতি কুইন্টালে ৫০০ রুপি কমে ১৪ হাজার ৮৫০ রুপি হয়েছে। দিল্লিতে পামোলিনের দাম প্রতি কুইন্টালে ৬০০ রুপি কমে ১৬ হাজার ৩৫০ এবং কান্দলায় ৫২০ রুপি কমে ১৫ হাজার ২০০ রুপিতে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতে বাদাম তেলের দাম প্রতি টিনে ২৫ রুপি কমে ২ হাজার ৬২৫ থেকে ২ হাজার ৮১৫ রুপি বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে, চলতি সপ্তাহে ভারতে পেট্রল ও ডিজেলে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর ফলে দেশটিতে পেট্রলের দাম কমেছে লিটারপ্রতি সাড়ে নয় রুপি ও ডিজেলে সাত রুপি। দাম কমছে রান্নার গ্যাসেরও। এ প্রকল্পে উজ্জ্বলা গ্যাস সিলিন্ডারে ২০০ রুপি করে ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বছরে ১২টি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ ছাড় পাবেন গ্রাহকরা।

ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর বাংলাদেশের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ডিজেলের দাম সমন্বয় করার এখনই কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা দেখছি, কারণ কয়েকদিন পরেই আবার দাম বাড়তে পারে। অমুক দেশে দাম কমলে আমাদেরও দাম কমাতে এসব বলা হয়। কিন্তু অমুক দেশে দাম বাড়লে তখন দাম বাড়ানোর কথা তো বলা হয় না। জ্বালানি তেলের দাম আমরা যেভাবে রেখেছি, সেভাবেই স্থিতিশীল রাখতে চাই।