রহমত ডেস্ক 18 May, 2022 10:50 AM
মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন প্রকাশিত ২ খণ্ডের শ্বেতপত্রটির পাতায় পাতায় অসংখ্য ভুল রয়েছে বলে দাবি করেছে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা।’
মঙ্গলবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ৫ সদস্যের একটি আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই শ্বেতপত্রটি নিরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা। এতে তারা দেখতে পেয়েছেন, গত ২ দশকের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধি বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমেই প্রায় ৯০% তথ্য এখানে সংকলিত করা হয়েছে; এবং এক্ষেত্রে চূড়ান্ত অসততা ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে এসব পুরাতন তথ্য যাচাই, সম্পাদনা বা হালনাগাদও করা হয়নি। ফলে এই শ্বেতপত্রের পাতায় পাতায় অসংখ্য ভুল তথ্য, অর্ধ সত্য ও নানা রকম অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
শ্বেতপত্রটির আলোচিত অংশ ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের তালিকা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান কাসেমী বলেন, ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ১৫ জন বক্তার একটি তালিকা প্রণয়ন করে এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়৷ এতে প্রমাণ হয় যে, বাংলাদেশ সরকার ওয়াজ মাহফিলে ধর্মের অপব্যবহার সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন রয়েছে। এরপরও এই ভুঁইফোড় সংগঠনটি এই বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে এবং এর মাধ্যমে ফায়দা লুটার অশুভ পাঁয়তারা আটছে। আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বিরোধি অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও এখানে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গণকমিশনের বিরুদ্ধে স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী বলেন, আমরা মনে করি, বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশকে বিনষ্ট করে আলেম-উলামা ও সরকারকে মুখোমুখি করার একটি হীন, অপপ্রয়াস হিসাবেই গণকমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে কোনো ধরণের অশান্তি সৃষ্টির সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত, এই মহান সাফল্যে কালিমা লেপনের যেকোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা প্রতিহত করবে।