রহমত ডেস্ক 17 May, 2022 07:14 PM
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো। বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার জন্ম না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে।
আজ (১৭ মে) মঙ্গলবার শরীয়তপুরের সখিপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, কোহিনুর সুলতানা দোলা, মোজাম্মেল হক মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মানিক সরদার, যুবলীগের আহবায়ক খালেক খালাসী, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহম্মেদ পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান খোকন, মহিলা আওয়ামী লীগেরর সভাপতি আনোয়ারা বেগম, ছাত্রলীগের সভাপতি সোমেল সরদার ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান বেপারী। এছাড়াও নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালির উদ্ধোধন করেন এবং নড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এতে অংশগ্রহণ করেন, নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক ইমরান খালাসী।
এনামুল হক শামীম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশকে উল্টোরথে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। তারা ভেবেছিল এই দেশে বঙ্গবন্ধুর কথা আর কেউ বলতে পারবে না। তার হাতে গড়া রাজনৈতিক দল ও আদর্শের পতাকা কেউ তুলে ধরবে না। ১৯৮১ সালের এইদিনে বাংলাদেশের লাখো মানুষের সঙ্গে স্কুল পড়ুয়া একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তিনি দেশে ফিরে এসে দীর্ঘ সংগ্রাম করে তিল তিল করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ঘিরেই বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন। আর ৪১ বছর ধরে এদেশের মানুষের স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। তিনি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আছেন বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্রবন্দর সহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উদারতা প্রশংসা করছেন বিশ্ব নেতারা। তিনি এখন বিশ্ব মানবতাবাদী নেতায় পরিণত হয়েছেন। দিশেহারা মানুষের আলোকবর্তিকায় পরিণত হয়েছেন। কোনো ষড়যন্ত্রই তাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ, এদেশের জনগণ একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকেই পূর্ণতা দিতে চলেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের যোগ্য কান্ডারি।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা শরীয়তপুর শরিয়তপুর সদর