রহমত ডেস্ক 17 May, 2022 08:23 PM
দলীয় নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, এটি অতিক্রম করতে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে সকল প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান।
আজ (১৭ মে) মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পথ পাথর বিছানো, এই পথ অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ঐক্যবন্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের মানুষ পদ্মাসেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে রাখতে চায়, কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তা চান না। এবিষয়ে নেত্রীকে আবারও অনুরোধ জানানো হবে। আজ সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষ চায় পদ্মাসেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা হোক, আমিও সেই দাবি জাতীয় সংসদে করেছি। পদ্মাসেতুর নাম যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসম্মান করা হবে।
তিনি আরো বলেন, গত ৪১ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কুটনীতিক ও সৎ এবং জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে না আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার হতো না, পদ্মা সেতুসহ দেশের অন্যান্য উন্নয়ন হতো না। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে, মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকবে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিনে বলে বাংলাদেশ পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত হয়েছিল। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি ও সীটমহল বিনিময় হয়েছেল। শেখ হাসিনার কারনে বিশ্ব ব্যাংক আজ আমাদের প্রশংসা করছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও মাবন সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।