রহমত ডেস্ক 13 May, 2022 08:31 PM
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী বলেছেন, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক ১০০০ মাদরাসা ও পরশপাথরতুল্য ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে ২২০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রস্তুত দেশবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী কাজ। দেশে আইন আদালত থাকতে তথাকথিত ‘গণকমিশন’ মাদরাসা ও আলেমদের বিরুদ্ধে তদন্ত বা তালিকা তৈরির এখতিয়ার নেই। এধরণের কাজ দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান বিরোধী কাজ। আলেমদের তালিকা করে তাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে? ইসলাম ও দেশবিরোধী এধরণের চক্রান্ত রুখতে ওলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আজ (১৩ মে) শুক্রবার বিকালে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মাওলানা আব্দুল আজিজ কাসেমী, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবি, মাওলানা আশরাফ আলী নুরী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মর্তুজা কাসেমী, মুফতি রেদওয়ানুল হক, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
মাওলানা ফয়েজী বলেন, কথিত গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ নিজের মায়ের সম্পদ কুক্ষিগত করা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রসিকিউটর থাকাকালীন অবৈধ অর্থের লোভে আসামির সাথে বোরকা পরে সাক্ষাৎ করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে। ২০১২ সালে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে নিন্দা ও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সংসদ সর্বসম্মত একটি প্রস্তাব পাস করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ তাকে স্যাডিস্ট বলে অভিহিত করেছেন। সেই মানিক দ্বৈত নাগরিক হওয়া সত্বেও তা গোপন করে বিচারপতি হয়েছেন, যা চরম অন্যায়। কাজেই এধরণের গণধিকৃত ব্যক্তিদের আলেম ও মাদরাসা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। তুরিন ও মানিকদের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিচার করতে হবে। অবিলম্বে তথাকথিত ‘গণকমিশন’-এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন করে আলেম ও মাদরাসার বিরুদ্ধে তালিকা ও তদন্ত করার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।