রহমত ডেস্ক 12 May, 2022 08:13 PM
খুলনার তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকেই ২ লাখ ৩৬ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করেছে প্রশাসন। অধিক লাভের আশায় এসব তেল গোপন গুদামে মজুত করেছিলো অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জব্দকৃত তেল তিনদিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০ টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে অভিযান। অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক।
র্যাব-৬ সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় সাহা ট্রেডার্সের গোডাউনে ৩১ হাজার ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল ও ৬৩ হাজার ৩০০ লিটার পাম অয়েল মজুদ পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী দিলিপ কুমার সাহাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর পর সোনালী এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে ২৬ হাজার ৭৮০ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩১ হাজার ৮০০ লিটার পাম অয়েল মজুদের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী প্রদীপ সাহাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে রণজিত বিশ্বাস অ্যান্ড সন্সের গোডাউনে ৯ হাজার ৫৮০ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫৯ হাজার ৫৬০ লিটার পাম অয়েল মজুদের অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদায় করা হয়।
তবে, গোডাউন মালিকদের দাবি, চলমান ব্যবসার প্রয়োজনে তেল মজুদ করা হয়েছে। দাম বৃদ্ধির জন্য করা হয়নি। বর্তমানে লোকসান দিয়ে তারা সুপার পাম ওয়েল বিক্রি করছেন।
র্যাব-৬-এর পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিপণন মজুদ আইন অনুযায়ী ৩০ মেট্রিক টনের বেশি তেল মজুদ করার সুযোগ নেই। গোডাউনগুলোতে অতিরিক্ত তেল পাওয়া গেছে। তাদের এ বিষয়ে সর্তক ও জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, ‘জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ যাতে ভোজ্যতেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’
এদিকে, নাটোরে এক জনপ্রতিনিধির গোডাউনে মিলেছে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত। বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়নের গোডাউন থেকে জব্দ করা হয় ৩ হাজার লিটার ভোজ্যতেল। তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।