রহমত ডেস্ক 05 May, 2022 05:17 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর শেষ হওয়ায় আবার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা মনে করি, যাই হোক দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে থাকবে না। যে সরকারই আসুক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন। দেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশে কোনো হরতাল নেই, ধর্মঘট নেই, রাজনৈতিক অঙ্গন ওইভাবে উত্তপ্তও হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলেছে। আজ (৫ মে) বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তপ্তের কথা যেটা বলেছি, বিএনপি নেতারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। তারা ধর্মঘট করবেন, বাংলাদেশকে অচল করে দেবেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ঈদ উদযাপনের মতো পরিবেশ নেই। আমি সম্পূর্ণভাবে তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। তারা হয়তো মনে করতে পারেন, তাদের জন্য সুন্দরভাবেই ঈদ উদযাপনের পরিবেশ নেই। শুনলাম ঈদের আগে আমার পাশের গ্রামে ১৯টি গরু জবাই করেছে। চিন্তা করা যায়? গ্রামের দোকানগুলোতে এতো ভিড় যে মানুষ লাইন ধরে জিনিসপত্র কিনছেন। কেউ দামাদামি করলে বলছে, একটু সরে যান আরেকজন গ্রাহক আছে। এত বিক্রি হয়েছে যে, দামাদামি করার সুযোগ ছিল না।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে, বিএনপি যতই আন্দোলনের ডাক দিক, হরতাল দিক, কেউ তাদের কর্মসূচিতে যোগ দেবে না। ২০১৫ সালের পরে তারা সফল হয়নি, আগামী দিনেও হরতালের ডাক দিয়ে তারা সফল হবে না। কারণ তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। আমার মনে হয় না, আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ সরকারের পতন ঘটানো যাবে। করোনা মহামারির কারণে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে আছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে অতীতে যেভাবে এগোচ্ছিল সেভাবে এগোতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীনতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাক বা না থাক, দেশের বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু নিয়ে সবসময় তৎপর থাকে। এটি ডায়নামিক একটি রাজনৈতিক দল। সবসময় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখে। সম্মেলন করা আমাদের একটি রুটিন। তিন বছর পর পর আমরা সম্মেলন করি। সম্মেলনের জন্য যে সব প্রস্তুতি দরকার, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এগুলো যুগোপযোগী করি, সেটা আমরা করবো। কাউন্সিলরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।