| |
               

মূল পাতা রাজনীতি পাঠ্যপুস্তকে একজন নেতা ছাড়া অন্য কারো নাম নেই: ফখরুল


ফাইল ছবি

পাঠ্যপুস্তকে একজন নেতা ছাড়া অন্য কারো নাম নেই: ফখরুল


রহমত ডেস্ক     27 April, 2022     04:27 PM    


পাঠ্যপুস্তকে একজন নেতা ছাড়া অন্য কারো নাম নেই দাবি করে  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ছোট ছোট নাতি-নাতনি যারা স্কুলে পড়াশোনা করে, তারা শুধু একজনের নাম জানে। অন্য কারো নাম জানে না। এমনকি এখন যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে তারাও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম ভুলে যাওয়ার অবস্থায় পৌঁছেছেন। আজকে একটা মাত্র পরিবার, একটি মাত্র দর্শনকে সামনে নিয়ে আসার জন্য আজকে সমগ্র বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে।‘আজকে একটা মাত্র পরিবার, একটি মাত্র দর্শনকে সামনে নিয়ে আসার জন্য আজকে সমগ্র বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। 

বুধবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শেরে বাংলা ফজলুল হকের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।

সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতিকে ধ্বংস করার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এভাবে রাজনীতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিরোধী দলের রাজনীতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এই যে মিথ্যাচার, এর জন্যই আমরা প্রতিনিয়ত বলি যে, প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর এ জন্যই শেরে বাংলা ফজলুল হকের মতাদর্শ আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক।’

জাতির উপর ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু হয়েছে। আগ্রাসন রুখতে হবে কারণ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সরকারের আগ্রাসনটা সর্বগ্রাসী। একদিকে ইতিহাস বিকৃত করছে, অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, অন্য দিকে রাজনীতিকে এক দলীয়করণের দিকে নিয়ে গিয়ে গণতন্ত্রকে সরিয়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদী দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই বিষয়গুলো সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার বিষয় নয় বরং এটাকে দার্শনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে সরকার। আর এ সমস্ত কাজগুলো করার জন্য দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষ ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বলেন, সংঘর্ষে দুজন প্রাণ দিলেন অথচ পুলিশ প্রথমেই বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, রিমান্ডে নিয়েছে। অথচ সমস্ত গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে এ ঘটনার জন্য মূলত দায়ী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।