রহমত ডেস্ক 26 April, 2022 08:27 PM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে। ভারত বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উত্থাপন করবে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ লাখ ভারতীয় বসবাস করে। তারা খুবই শক্তিশালী। তারাও সরকারকে বলেছে, এটি হয়েছে শুধু ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে।
আজ (২৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে গত রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএসএসে একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছিলেন, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়া র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা যে বিষয়টি বলছে সেটি হচ্ছে দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতা ম্যাকানিজম র্যাবের অভ্যন্তরে রয়েছে। অন্যায়ের জন্য কিছু কিছু র্যাব কর্মকর্তার শাস্তিও হয়েছে। তবে এই বার্তাটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঠিকমতো পৌঁছায় না। এগুলো তাদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্র এখনো হয়ত আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি। আগামীতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ২৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় আসছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো একটা সুখবর নিয়ে আসবেন। তবে কী খবর নিয়ে আসবেন এখনো আমরা জানি না। ভারতের গণমাধ্যমের বরাতে আমরা জেনেছি, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার হয়তো তারিখসহ আমন্ত্রণ দেওয়া হবে।
একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন। সফরে তার সঙ্গে থাকছেন দেশটির নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা। সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ড. মোমেনের আমন্ত্রণে একটি ইফতার পার্টিতে যোগ দেবেন জয়শঙ্কর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অন্যান্য বিষয়, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য বিষয়ক বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। আমরা বাণিজ্য আরও বাড়াতে চাই। তিন দেশের হাইওয়ে নিয়ে ঢাকা আলোচনা করতে চায়, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মধ্যে সড়ক পথে কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এ উদ্যোগে সংযুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। আমরা তাদের আবার অনুরোধ করব। ইতোমধ্যে ভারত এ বিষয়ে রাজি হয়েছে এবং থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন তাদেরও কোনো আপত্তি নেই। এ বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখব।