রহমত ডেস্ক 25 April, 2022 09:30 PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের চিকিৎসকদের নিপীড়ন করা হতো। তাদের নিপীড়নে একজন চিকিৎসক তো মৃত্যুবরণ করলেন। স্বাচিপ সেই অবস্থার মধ্য থেকে উঠে আসা সংগঠন। স্বাচিপ একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন।
আজ (২৫ এপ্রিল) সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখা কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় ও সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. নীহার রঞ্জন, অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান, অধ্যাপক ডা. জুহুরুল হক সাচ্চু, স্বাচিপের আইন বিষয়ক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ, বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের যুগ্ম আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লা, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল আলীম, সহকারী পরিচালক ডা. মেহেজাবিন শাওলী, কনসালট্যান্ট ডা. রাজীব সাহা, মেডিক্যাল অফিসার ডা. হাসানুল হক নিপুন, ডা. জাকির হোসেন, রেসিডেন্ট ডা. মোহাম্মদ হাসান, ডা.তালহা জিনান প্রমুখ।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। অথচ সেই দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে স্বাস্থ্য খাতকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। স্বাস্থ্য খাতে আগে মাত্র ৮ হাজার ৩১২ জন চিকিৎসক ছিলেন। সেই সংখ্যাকে শেখ হাসিনা ২৫ হাজারের বেশিতে উন্নীত করেছেন। শেখ হাসিনা গত ৫ বছরে ২০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। গত দুই বছরে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। করোনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সারা বিশ্বে তিনি ২৬তম রাষ্ট্রপ্রধান ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছেন। করোনার সময় তিনি স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার কোটি বরাদ্দ দেন। সারাবিশ্বে ৩ হাজার শয্যার হাসপাতাল আছে মাত্র চারটি। সুপার স্পেশালাইজড চালু হলে আমাদেরটিও হবে ৩ হাজার শয্যার হাসপাতাল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা।