রহমত ডেস্ক 19 April, 2022 09:14 PM
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত সাড়ে তেরো বছর আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার আগে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু ইসলামের খেদমতে অন্য কেউ এতো কাজ করেনি। বিএনপি ভোটের সময় কড়া মুসলমান হয়ে যায়, ভোট চলে গেলে ইসলামের জন্য, আলেম-ওলামাদের জন্য কাজের কথা ভুলে যায়। এরশাদ সাহেব ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, খালেদা জিয়া আলেম-ওলামাদের মাথায় হাত বুলিয়ে ভোট নিয়েছেন, কিন্তু ইসলামের খেদমতে তারা কাজ করেননি, শুধু ভোটের সময় যারা কড়া মুসলমান হয়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ (১৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির ইফতার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো: ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান, সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো: সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মো: মামুনুর রশীদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর ড. মুফতি কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল শতবর্ষ পুরনো। বিএনপি জামাতকে নিয়ে, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। ভোটের সময় তারা ইসলামের কথা খুব বক্তৃতা করেছেন, কিন্তু কেউ সেই দাবি পূরণ করেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে এটি কেউ কল্পনা করতে পারেননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং স্বীকৃতি দিলেও চাকুরি হবে না এমন মন্তব্যকারীদের বিস্মিত করে শুধু চাকুরিই নয়, সরকারি চাকুরি দিয়েছেন। দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদ ভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, মক্তবের শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেয়া, পাশাপাশি বিশ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে বারো হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বহু ইসলামী রাষ্ট্র আছে, কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সারাদেশে একসাথে প্রতি জেলা ও উপজেলায় ৬০০ মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এ মসজিদগুলো বাইরে থেকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, ভেতরে ঢুকলে মন জুড়িয়ে যায়। ঢাকার বায়তুল মুকাররম মসজিদে কোনো গম্বুজ ছিলো না। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন এবং মাঝখানে বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক কোনো সরকারই এই কাজ সমাপ্ত করতে পারে নি, আবার ক্ষমতায় এসে পরম করুণাময়ের ইচ্ছায় শেখ হাসিনাই এটি সমাপ্ত করলেন।