| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ঢাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য পড়েছে : আবদুর রব


ঢাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য পড়েছে : আবদুর রব


রহমত ডেস্ক     03 April, 2022     10:12 PM    


জনগণের চরম দুর্ভোগের প্রতিকার চেয়ে দেশে ৯টি ‘প্রদেশ’ এবং প্রাদেশিক সরকার ও পরিষদের দাবি জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, খেয়ালখুশির উন্নয়নে যানজট, শব্দ ও বায়ু দূষণে ঢাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম ঘণবসতি ও বিশাল জনসংখ্যার একটি রাষ্ট্রে সকল ক্ষমতা ঢাকায় কেন্দ্রীভূত করে যে রাজনৈতিক ও উন্নয়ন দর্শন চলমান রয়েছে, তা-নিঃসন্দেহে আত্মঘাতী।আজ (৩ এপ্রিল) রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গিনেস বুকে’ প্রকল্পের খরচ এবং অপচয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার পরও উন্নয়ন দর্শনের ফুলঝুরি অসার প্রমাণিত হয়েছে। উন্নয়নবিশেষজ্ঞদের মতে, সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অভাবে উড়াল সড়ক, মেট্রোরেল এমনকি পাতালরেলসহ সবকিছু চালু হওয়ার পরও যানজট অসহনীয় পর্যায়েই থেকে যাবে। কারণ, এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় ও সরকারের মর্জিমাফিক। ‌অপরিকল্পিত, অপেশাদার এবং অদূরদর্শী পরিকল্পনায় ঢাকা শহর তথা রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। উচ্চাবিলাসী প্রকল্পের যথাযথ মূল্যায়ন না করেই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে এবং দেশকে ক্রমাগত ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  আজকের বিশ্বে কোথাও বাংলাদেশের মত এত অপরিকল্পিত অপেশাদার মনোভাব নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় না। ভুল উন্নয়ন দর্শনকে অবিলম্বে পরিত্যাগ করতে হবে। যানজট ও বসবাস অযোগ্য ঢাকাকে মুক্তকরণের জন্য বিদ্যমান এককেন্দ্রিক ও কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা ও সেবাদান পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ বিকেন্দ্রীকৃত শাসন কাঠামো প্রবর্তন করতে হবে। এককেন্দ্রিক নয় - প্রজাতন্ত্রে ফেডারেল পদ্ধতির কেন্দ্রীয় সরকার থাকবে।

তিনি আরো বলেন, ১. বাংলাদেশে ৯টি “প্রদেশ” স্থাপন করতে হবে। ২. প্রত্যক প্রদেশে ১৫০ সদস্য বিশিষ্ট “প্রাদেশিক পরিষদ” থাকবে। ৩. প্রতি প্রদেশে ১০ সদস্যের “প্রাদেশিক সরকার” থাকবে। ৪. গুরুত্বপূর্ণ জেলাসমূহকে বিভাগীয় মর্যাদায় উন্নীত করতে হবে। ৫. উপজেলা ভিত্তিক স্ব-শাসিত “স্থানীয় সরকার” ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাঙালির তৃতীয় জাগরণের এই পর্যায়ে নতুন ‘রাজনৈতিক’ ও ‘উন্নয়ন’ দর্শন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বাক-স্বাধীনতা অর্থাৎ জীবনমান, অবকাঠামো এবং জলবায়ুর উন্নয়নে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মেধার অধিকারী পেশাজীবীদের অংশীদারিত্ব এবং বিকেন্দ্রীকৃত শাসন কাঠামো ভিত্তিক কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় রূপকল্প ও লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।