রহমত ডেস্ক 03 April, 2022 09:44 PM
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় আমরা যেন সংযম, ধৈর্য ও শক্তির সঙ্গে এই মাসটা অতিবাহিত করি। আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মসমালোচনা করারও মাস এটা এবং নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া বা আত্মত্যাগের মাসও এটা। আমরা প্রতি বছরই রমজান মাসে মাসব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত ভাই-বোনদের সাথে ইফতার ভাগাভাগি করি। তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করি।
আজ (৩ এপ্রিল) রবিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানাসহ প্রমুখ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চাচ্ছে এবং করছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তাদের একটা বড় ইস্যু। আপনারা একটু যাচাই বাছাই করে দেখেন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে মূল হোতা কারা। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা তাদের অতীত ইতিহাস কি তাহলে বুঝতে পারবেন এর পিছনে বিএনপির হাত আছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বিএনপি-জামাতের কারসাজি এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে। যুবলীগ নেতা-কর্মীদের জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আমরা যুবলীগ বলতে চাই আমরা সবসময় নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের সংগঠন। এই সংগঠনটি কোন ক্যান্টনমেন্ট বা সামরিক জান্তা থেকে জন্ম হয়নি। এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে গণমানুষের কথা বলতে বলতে, মানুষের অধিকার আদায়, সংগ্রামের মাধ্যমে। সুতরাং যখনই আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন মান উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তখনই এদেশকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারি বিভিন্ন বিদেশি মহল কখনই চায় নাই এদেশের মেহনতি, দুঃখী মানুষ শান্তিতে থাকুক, ভালভাবে বেঁচে থাকুক, আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। ভূ-রাজনৈতিক কারণে এটা কখনো তারা চায়নি। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা কোন ছোট ঘটনা নয়, আমরা দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি। কিন্তু আমরা মর্যাদাশীল দেশ। দারিদ্রের হার যেখানে ৪০ভাগ ছিল, সেখানে হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আজকে মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।