| |
               

মূল পাতা আরো তথ্য প্রযুক্তি ‘প্রযুক্তির অপরাধ প্রযুক্তি ছাড়া মোকাবেলা করা সম্ভব নয়’


‘প্রযুক্তির অপরাধ প্রযুক্তি ছাড়া মোকাবেলা করা সম্ভব নয়’


রহমত ডেস্ক     30 March, 2022     09:50 PM    


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তির অপরাধ প্রযুক্তি ছাড়া মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তি ব্যবহারকারী, নিয়ন্ত্রক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ত্রুটিমুক্ত রাখতে সীম নিবন্ধন ও কেওয়াইসি প্রভূতি বিষয় ত্রুটিমুক্ত রাখতে হবে। গ্রাহকদের ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারের নূন্যতম দক্ষতা থাকলে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসহ বিদ্যমান বিভিন্ন ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব।

আজ (৩০ মার্চ) বুধবার রাজধানীতে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট-পিআরআই আয়োজিত ‘দ্য স্টেট অব ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কনসিউমার প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পিআরআই’র নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আহসান মনসুর, অ্যামাজন’র বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার কান্ট্রি ডাইরেক্টর ওলফগ্যাং হেইনজি, বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, ই-ক্যাব’র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন শিপন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবির প্রমূখ। এছাড়াও, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র গবেষক ড. আশিকুর রহমান।

বাংলাদেশের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের প্রসারকে একটি বিস্ময়কর অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ করে যেসব মানুষের দোরগোড়ায় অর্থাৎ প্রান্তিক কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছাতে পারেনি, তাদের মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবা পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কনসিউমার প্রটেকশন বিষয়ক গবেষণা ফলাফলকে অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ, এই গবেষণা, প্রচলিত ব্যবস্থায় বিদ্যমান ত্রুটিগুলো সমাধানে নীতিনির্ধারনী ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে। এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশের জন্য পিআরআইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের প্রসারে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস পৃথিবীর কাছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০০৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পৃথিবী ডিজিটাল হচ্ছে, এটি থামানোর উপায় নেই। আমরা চাই বা না চাই ডিজিটাল হতেই হবে,গত ১৩ বছরে ডিজিটাইজেশনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তনকে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ডিজিটাল কমার্সের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করাটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। এমন একটা সময় আসবে ব্যবসা বাণিজ্য বলতেই ডিজিটাল বাণিজ্যকেই বোঝাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনকে নিরাপদ রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।