রহমত ডেস্ক 28 March, 2022 09:37 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কেমন হরতাল হয়েছে ভাই। এর চেয়ে হেফাজতও তো ভালো, হেফাজত তো তাও মতিঝিলে বিরাট সমাবেশ করতে পারে।
সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুনন্নাহার চাপা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ফারুক হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. শাহাদাত হোসেন খানের নাম ঘোষণা করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সামনে রোজা আসছে। এই রোজাকে কেন্দ্র করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কমিউনিস্ট পার্টির কিছু বামপন্থী নেতারা আজ হরতাল দিয়েছে। তাদের সমর্থন দিয়েছে বিএনপি ও ভুঁইফোড় কিছু রাজনৈতিক দল। টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ কিংবা চিটাগংয়ের কথা বাদই দিলাম। ঢাকা শহরেও তো একটা মানুষকে দেখলাম না যে হরতালের পক্ষে কথা বলে। মানুষ নির্বিঘ্নে কাজ করছে। যতই হরতাল করেন, যতই রেললাইন তোলেন, বিদ্যুতের লাইন কাটেন। এখন আর বাংলাদেশে বিদ্যুতের লাইন কাটতে পারবেন না। কোনো হরতাল হবে না। আর এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। কেউ যদি এই নির্বাচন বিঘ্নিত করতে চায়, আমরা অবশ্যই মোকাবিলা করব।
তিনি বলেন, কিছু খাদ্য শষ্যের দাম বেড়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে চাই আমাদের নেত্রী কি বসে আছেন? আমরা কি ব্যবস্থা নিচ্ছি না? আমরাও ওএমএসে চাল দিচ্ছি। আমরা ভিজিএফ দিচ্ছি, ৫০ লাখ পরিবারে ৫ জন করে হলেও আড়াই কোটি মানুষকে আমরা ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছি। দাম কেন বাড়ছে? আন্তর্জাতিক বাজারে ১ টন সয়াবিনের দাম ছিল ৬০০ ডলার। সেটি হলো আজ ১৮০০ ডলার। জাহাজের ভাড়া ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার। তা এখন ১৮০০ থেকে ২ হাজার ডলার। ৯০ ভাগ ভোজ্য তেল সয়াবিন, পামওয়েল বিদেশ থেকে আনতে হয়। এটা প্রাইভেট সেক্টর আনে। আমি বললেই তো তারা দাম কমাবে না। সরকার চেষ্টা করছে। এক কোটিরও বেশি মানুষকে আমরা তেল, ডাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামীতেও নেতৃত্ব দেবেন। আগামীতে নির্বাচন হবে। যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেই কমিশনের তত্ত্বাবধানেই নির্বাচন হবে। বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা দেশের মানুষকে বিশ্বাস করেন না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে ঘুরে বেরিয়েছি জীবন বাজি রেখে। সেই সময় বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের অনেক আদর আপ্যায়নে ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। সেই পাকিস্তানিকে এনেও যদি বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন করা যায়, তাহলে হয়তো বিএনপি বিশ্বাস করবে যে বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।