বাগেরহাটে ১০ টাকা কেজির চালে ওজনে কম

বাগেরহাটের শরণখোলায় দশ টাকা কেজির চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি বস্তায় ৩০কেজি করে চাল থাকার কথা। বাস্তবে প্রত্যেক বস্তায় কোনোটিতে সাড়ে ৩ কেজি আবার কোনোটিতে ২কেজি করে চাল কম রয়েছে বলে এক ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

উপকারভোগীদের অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিতরণ করা চাল পরিমাপ করে ওজনে কম দেওয়ার পাওয়া গেছে। পরে চাল বিতরণ করা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। উপজেলা খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ধানসাগর ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে।

তবে, অভিযুক্ত খাদ্য বন্ধব ডিলার মো. মুসনুর আলী ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি খাদ্য গুদাম থেকে যেভাবে এনেছি কার্ডধারীদের সেভাবেই বিতরণ করেছি। কম দিলে গুদাম থেকেই দিয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, ডিলার মুনসুর আলী ৮ মার্চ গুদাম থেকে ৩৭৭ বস্তা চাল উত্তোলন করেছেন। তাকে ৩০ কেজি হিসাবে ১১ হাজার ৩১০ কেজি চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে একটি চালও কম দেওয়া হয়নি। নিজে অপরাধ করে এখন উল্টাপাল্টা বলছেন। 

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর আলী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও বস্তাগুলো ইনটেক পেয়েছি। যতোগুলো কার্ডের চাল বিতরণ হয়েছে প্রত্যেককে ১০০টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে ডিলারকে। পরে কার্ডে ৩০ কেজি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এর ব্যতিক্রম করলে তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: খুলনা বাগেরহাট শরণখোলা