রহমত ডেস্ক 20 March, 2022 10:37 PM
নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ‘শয়তান ও দুশ্চরিত্রের লোক’। সেলিম ভাই নোয়াখালী শহরে তিনটা বিল্ডিং করেছেন। এতো কানি কানি জমি দখল করছেন। এবার কিন্তু টেঙ্কি ভাঙাভাঙি (ধাক্কাধাক্কি) চলবে। শয়তান লোক, দুশ্চরিত্রের লোক, ৪০ বছর চেয়ারম্যানি করে হিন্দুদের ওপর শোষণ করেছেন। আমি এমপি না হলে এসবের কিছুই জানতাম না।
আজ (২০ মার্চ) রবিবার দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটার গ্লোব বাজার হারুনুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের আয়োজনে একযুগ পূর্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক, অধ্যক্ষ মোনায়েম খান, চরবাটা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব, চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল বাসার, প্রফেসর সফিকুল ইসলাম সাজু, কবি ও লেখক সিরাজুল ইসলাম মনির ও চরজুবিলীর চেয়ারম্যান সাইফুল্লা খসরু প্রমুখ।
সাংসদ একরাম চৌধুরী বলেন, চোখের সামনে আমার দলকে যারা ছিন্নভিন্ন করে দিতে চায়। যারা সুবর্ণচরের আওয়ামী লীগের সভপতি বানাতে চায় রাজাকারের বংশধরদের। আমি এটা হতে দেব না। রাজাকারের কোনো বংশধর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে পারে না। আজকে নোয়াখালীর রাজনীতি যখন সারা বাংলাদেশের আদর্শের মডেল। যাকে সভাপতি বানানোর জন্য আমার ছয় কোটি টাকা খরচ হয়েছিল সেই বেইমানই ওবায়দুল কাদেরের তালে পড়ে আমাকে বাহির করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। টের পাবেন শেখ হাসিনার লাস্ট দাবার চালে। তিনি নানক ভাইয়ের মাধ্যমে চারবার আমাকে চুপ থাকতে বলেছেন।
এর আগে টানা ১৭ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন একরামুল করিম চৌধুরী। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনেও তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ওই কমিটি অনুমোদনের আগেই গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে ঘোষিত কমিটি ভেঙে দিয়ে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে। আর অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খানকে দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।