জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণতন্ত্র, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ (১৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার  বিকাল ৩টা থেকে ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন উপ-প্রধান মিসেস জাহরিংগার।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের মধ্যে তো অনেক মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট আছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন আছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ব্যাপার আছে, মানবাধিকারের ব্যাপার আছে, বাংলাদেশে আইনের শাসনের ব্যাপার আছে—ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে, এটা তো আপনারা জানেন। এসব ব্যাপারে উনারা কনসার্ন। বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে উনারা (জার্মানি) তো তার একটা অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আমেরিকা বলেছে, ব্রিটেন বলেছে, সবাই বলেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন বাদে তো কোনও আলোচনা হতে পারে না। কারণ, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে উনারা জানতে চেয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? সবার চোখ তো বাংলাদেশের দিকে। আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? জার্মানি চোখ রাখছে, তারাও দেখতে চাচ্ছে আগামী দিনে বাংলাদেশের নির্বাচন কোথায় যায়? সেটা তারা চোখ রাখছে। উনাদেরও অবজারভেশন আছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয়ে সবাই অবগত আছেন। এখানে অবগত করার কিছু নেই। এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা সবারই জানা আছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো আমাদের দলের নিজস্ব ব্যাপার। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর রাষ্ট্রদূত নিয়েছেন। চেয়ারপারসন কেমন আছেন, উনি খোঁজ-খবর নিয়েছেন। চেয়ারপারসনের বিষয় তো সবাই অবগত আছেন। উনার জেলে থাকার পেছনে যে কারণ সেটা সবারই তো জানা আছে।