| |
               

মূল পাতা জাতীয় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে সহায়তা করবে মার্কিন কৃষি বিভাগ


কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে সহায়তা করবে মার্কিন কৃষি বিভাগ


রহমত ডেস্ক     16 March, 2022     09:58 PM    


কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। অন্যদিকে কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে সহায়তা করবে মার্কিন কৃষি বিভাগ।

আজ (১৬ মার্চ) বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে দু’দেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং এগ্রিকালচারাল এ্যাটাশের পৃথক পৃথক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইরাকের সাথে সমঝোতা স্মারকের জন্য শীঘ্রই একটি খসড়া প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুস সালাম সাদ্দাম মুহাইসেন। বৈঠকে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

পরে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সাথে ইরাকের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো। এই সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়- তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভারত ও তুরস্ক থেকে ইরাক কৃষিপণ্য আমদানি করে। তারা কৃষিখাতে সহযোগিতা করার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। এসময় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে বাংলাদেশকে মার্কিন কৃষি বিভাগ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রতিনিধিদল জানায়। এছাড়া তারা বাংলাদেশে কৃষিপণ্য পরিবহণ ও কোল্ড চেইনের জন্য রেফ্রিজারেটেড ভেহিকল প্রদান করবে।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলে দুই একর জমিতে বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একজন কনসালটেন্টকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনে মার্কিন কৃষি বিভাগ আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে।

উল্লেখ্য, মার্কিন কৃষি বিভাগ ২৭ মিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে। ২০২১-২৫ মেয়াদে চার বছরব্যাপী এ প্রকল্প মূলত বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করবে।