রহমত ডেস্ক 13 March, 2022 07:02 PM
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা লাইন থাকতেই হবে। ঠিকভাবে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে ঢাকা শহরকে বাঁচানো যাবে না। তাই কোনোভাবেই পয়োবর্জ্য ড্রেনে ফেলা যাবে না। রাজউক যেন কার্যকর পয়োবর্জ্য–ব্যবস্থার সংস্থান রেখেই ভবনের নকশার অনুমোদন দেয়। ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর পয়োবর্জ্য–ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ (১৩ মার্চ) রবিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দুই দিনব্যাপী ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রথম দিনের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উত্তর সিটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শেলডন ইয়েট, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জায়েদ জুরজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ১৫টি স্টল তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া দেখানোর আয়োজন করেছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, রাজধানীর অসংখ্য বাসাবাড়ি এমনকি গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আশপাশের পরিবেশও। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই নগরে জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে চাই। নগরীর খাল ও জলাধারগুলোতে এমন পানি চাই, যেখানে মশার প্রজননক্ষেত্র নয়; মাছ চাষ করা যাবে।