রহমত ডেস্ক 13 March, 2022 09:16 PM
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনা মোকাবেলা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সফলতা। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব আর সঠিক পরামর্শের কারনে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। করোনা কালীন সময়ে বাংলাদেশের এমন কোন সেক্টর নেই যে সরকারের সহযোগিতা পায় নি। তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। কেবল করোনাকালীন নয়, সাংবাদিকদের অসুস্থ্যতাজনিত আর্থিক সহযোগিতাও অব্যাহত রেখেছেন। সাংবাদিকদের প্রতি বর্তমান সরকারের মত আর কোন সরকারের সুনজর ছিল না।
আজ (১৩ মার্চ) রবিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদেও জন্য কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন আর্থিক সহায়তার চেক বিবরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাসস জেলা প্রতিনিধি মোঃ কায়েস উদ্দিন এবং চেকপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে মীর মোশারফ হোসেন জুয়েল ও মোঃ ওবায়দুল হক প্রমুখ। চেক বিতরণের দ্বিতীয় পর্যায়ের এই অনুষ্ঠানে জেলার ১৯ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে এবং একজন সাংবাদিককে ১ লাখ টাকার মোট ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক ধনী রাষ্ট্রের সাধারন মানুষকে টাকার বিনিময়ে করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন গ্রহন করতে হয়েছে। কিন্তু এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারনে আপামর জনগণ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এক কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকার করোনা মোকাবেলায় অত্যন্ত সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশে করোনা নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগনের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে।
সাংবাদিকতার আদর্শ মেনে দায়িত্বশীলতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা শুরুর প্রাক্কালে একটি মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা আর মানবিকতার কারনে দেশে একটি মানুষও অনাহারে মারা যায় নি। যে সময় ঐ মহল যখন এমন আশংকা করেছিল তখন দেশে ১৮ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ ছিল।