| |
               

মূল পাতা জাতীয় অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি : সিইসি


অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি : সিইসি


রহমত ডেস্ক     13 March, 2022     06:09 PM    


প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আগামী নির্বাচন যেন অধিকতর অংশগ্রহণমূলক হয়, প্রকৃত অংশীদারিত্বমূলক হয়- সে লক্ষ্যে সবার মতামত নিচ্ছে কমিশন।  ইতোমধ্যে আমাদের সংলাপের উদ্দেশ্যে ব্যক্ত করা হয়েছে। এই কমিশন নবগঠিত কমিশন। কমিশনের কাজ হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও লোকাল গর্ভমেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করা। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলেছেন। আগের নির্বাচন পুরো অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন কারণে হয়নি। সেজন্য আমরা চাই নির্বাচনটা (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) যাতে আরও অধিক অংশগ্রহণমূলক হয়।

আজ (১৩ মার্চ) রবিবার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সবার মতামত নিতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কমিশনের প্রথম সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসির প্রথম বৈঠক বিকাল ৩টায় শুরু হয়। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিতে সংলাপে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের প্রথম বৈঠকে ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষাবিদ। সাড়া দেননি ১৭ জন শিক্ষাবিদ।

আজকের সংলাপে অংশ নেওয়া ১৩ জন শিক্ষাবিদের মধ্যে ১১ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লায়লাফুর ইয়াসমিন, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী,সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম,অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল।

নির্দিষ্ট এজেন্ডা ছাড়াই এই সংলাপ শুরু করেছে কমিশন। এরপর ২২ মার্চ নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপে বসবে। পরে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও সংলাপ হবে। সংলাপে উঠে আসা মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দায়িত্ব নেওয়ার পর এত অল্প সময়ের মধ্যে সংলাপে বসার উদ্যোগ নিল এই কমিশন। নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল। সে বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদার কমিশন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম অফিস করে হাবিবুল আউয়ালের কমিশন। সবার সঙ্গে মতামত নিয়ে সেই আলোকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।