| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা


ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা


রহমত ডেস্ক     12 March, 2022     04:22 PM    


বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনকে ফোরামের নতুন সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে উপস্থিত ফোরামের সদস্যরা প্রস্তাবে সমর্থন জানান। ফোরামের সভাপতি নির্বাচনের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তালিকা নির্ধারণে ২০ সদস্যের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সাবজেক্ট কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাছাইয়ে কাজ করবে বলে কাউন্সিল থেকে জানানো হয়েছে।

আজ (১২ মার্চ) শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে গণফোরামের অনুষ্ঠিত বিশেষ কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, এর আর জাহাঙ্গীর, নাজমুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।

কাউন্সিলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তাব পাঠ করে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ বলেন, আমাদের বুঝতে হবে এবং দেশের মালিক জনগণকে বুঝাতে হবে যে চলমান দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতির ধারা অব্যাহত থাকলে, ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর নেতিবাচক নির্বাচনী ফ্রন্ট বা জোট গঠন করে রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। কিন্তু জনগণের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ‘জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ বাস্তবায়ন করতে হলে- প্রথমত, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে; দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জনগণের কছে গিয়ে জনগণকে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলো সম্পর্কে সচেতন করতে হবে; তৃতীয়ত, অধিকার সচেতন জনগণকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিম্নতম পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সংগঠনকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে হবে। সুশৃঙ্খল-শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়িত নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতির চিরবিদায় করতে হবে। কেবল মাত্র তখনই বাংলাদেশের জনগণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে মুক্তি পাবে।