রহমত ডেস্ক 09 March, 2022 06:09 PM
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে, ভালো-মন্দ সম্বন্ধে ধারণা আছে। পর্যটনকে টেনে তুলছি। তবে দুটি কারণে এটা বিকাশ হচ্ছে না- একটা সাংস্কৃতিক অন্যটি প্রাকৃতিক। আমাদের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আছে এগুলো সুরক্ষা করতে হবে। পর্যটনশিল্পের সাধারণ অবকাঠামো সরকার করে দেবে, আর বাকি কাজগুলো বেসরকারি খাতকে দিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব বিদ্যুৎ, সড়ক, নিরাপত্তা দেখা। এগুলো হলো মূল জায়গা। নিজের দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে ঘোরাফেরা করতে পারে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। ন্যাচারাল জায়গাগুলো দেখতে হবে। বেসরকারি খাতকে স্পেস দিতে হবে, আমরা যেন তাদের বাধা না হয়ে দাঁড়াই। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার (৯ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘প্রিপারেশন অব ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান ফর বাংলাদেশ: প্রগ্রেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা জানান। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পর্যটন খাতের বিকাশ জরুরি, এ খাতকে পুরোপুরি বেসরকারি খাতে দেওয়া উচিত। আরও একটা কথা বলি লিজ সিস্টেম সম্পর্কে। কাল পেপারে পড়েছি এক কোম্পানি লিজের কথা বলে ৫০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে লিজের টাকা কীভাবে যেন মেরে দিয়েছে। বিমানেরও শতকোটি টাকা পাওনা আছে। অনেক পরিচিত ব্যক্তি এগুলো করছে। লিজে অনেক ভয় আছে। গ্রামে থানা নির্বাহী অফিসাররা ছোট ছোট বিল লিজ দিয়ে থাকে। এটা নিয়ে অনেক মামলা হয়। সুতরাং আমি লিজের পক্ষে নই। পর্যটন বিকাশে সরকার অবকাঠামো তৈরি করে দেবে আর ওরা লিজের নাম করে খেয়েদেয়ে চলে যাবে এর মধ্যে আমরা নেই।
পর্যটন বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বছর খানেক আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে বলেছিলেন রাতারগুল, বিছনাকান্দি, টাঙ্গুয়ার হাওড় ও জাফলংয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রের পরিকল্পনা তৈরি করতে। আমাদের নাগরিকরা এখানে যায়। এটার উন্নয়ন খুবই জরুরি। অনেকে এসব খাতে ব্যয় করে। এটা বাংলা টাকা হোক আর ডলার হোক। প্রাথমিক কাজ আমরা করবো বাকি কাজ করবে বেসরকারি খাত।পর্যটন নিয়ে ভয়ংকর কিছু চিত্র দেখলাম। নারী যায়, পুরুষ যায়, তারা বসার জায়গা পায় না। টয়লেট সুবিধা পায় না। আমরা পর্যটনের বেসিক অবকাঠামো করে দেবো। বাকি কাজগুলো চা শিঙাড়ার দোকান বেসরকারি খাতকে দিয়ে দিতে হবে। আমরা এগুলো চালাতে পারবো না।