রহমত ডেস্ক 05 March, 2022 04:07 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনে হাওয়া দিতে পারছে না, তাদের পায়ের নীচে মাটি নেই। ২০১৫ সাল থেকে তারা একদিনও হরতাল দিতে পারে নি। বাংলাদেশে আর কোন দিন হরতাল হবে না। আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিলে তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। ন্যায়ের পথে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে তাদেরকে আন্দোলন করতে হবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বর্তমান নির্বাচিত সরকার জনগণের জান-মাল রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিবে। বিএনপি ২০১৪ সালের মতো দেশে আবার অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মনে করছে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, বোমাবাজি করে, রেল লাইন তুলে, গাড়িতে আগুন দিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে আবারও ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু, এ দেশের জনগণ কোনভাবেই তাদের এ অপচেষ্টা মেনে নেবে না।
আজ (৫ মার্চ) শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগদেয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট জিয়াজুল কবির কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সবসময়ই বাঁকা পথে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও বাঁকা পথে জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। কাজেই, আগামী দিনে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে কাউকে নির্বাচন বানচাল করতে দেয়া হবে না। বিএনপি’কে ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। জনগণ তাদেরকে নির্বাচিত করলে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তাদের স্বাগত জানাব। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, জনগণ, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ এবং বিএনপি যখন বুঝতে পারবে তাদের পায়ের নীচে মাটি নেই, তখন তারা অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মোটা চালের দাম স্থিতিশীল আছে, তবে সরু চালের দাম এখনও কিছুটা বেশি। আর ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেড়েছে। ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। এ অবস্থায়, তেলের দাম কিছুটা না বাড়ালে কেউ আমদানি করবে বলে মনে হয় না। তবে সরকার কঠোরভাবে বাজার মনিটর করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্য তেল আনার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, গত দুই বছরের করোনাকাল ও আবার বর্তমানের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব রয়েছে। এসবের প্রভাব দ্রব্যমূল্যের ওপর পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।