| |
               

মূল পাতা জাতীয় আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে সেভাবে অভিজ্ঞ না : সিইসি


আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে সেভাবে অভিজ্ঞ না : সিইসি


রহমত ডেস্ক     28 February, 2022     06:27 PM    


নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের ক্ষমতা অসীম না। সংবিধানে আমাদের দায়িত্ব যেভাবে দেয়া আছে, আমরা সেভাবেই দায়িত্ব পালন করব। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সাধ্য মতো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করব। আমরা চাই কোনো দলই যেন ভোটের মাঠ ছেড়ে না যায়। কারণ কোনো দল ভোটের মাঠ ছেড়ে দিলে নির্বাচন আর সুষ্ঠু থাকে না। আমরা আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে সামনের নির্বাচনগুলো পরিচালনা করার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করব। আজ আমরা নির্বাচন কমিশনের সবার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। যদিও আমার সবাই নতুন। আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে সেভাবে অভিজ্ঞ না। তবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের জ্ঞান আছে। এজন্য কমিশনের সবার সঙ্গে বসে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। 

আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রমুখ।

সিইসি বলেন, আগের কমিশনের ব্যর্থতা-সফলতা মূল্যায়নের প্রশ্ন আসবে। কিন্তু এ মুহূর্তে আগের কমিশনের দোষ-ত্রুটি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে শিক্ষণীয় কোনো বিষয় থাকলে সে বিষয়ে আমরা কাজ করব। নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ থাকে, সবার আবেগ বুঝতে হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচনে অনেক কর্মী থাকে, তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাঠ ছেড়ে এলে হবে না, ছেড়ে গেলেও হবে না, থাকতে হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছু ধস্তাধস্তি হয়। আমাদের যে সামর্থ্য ও দক্ষতা আছে সে অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনের। নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের জন্য নির্বাচন করে না। একটি সরকার তো থাকবেই। যেমন- ওয়ান ইলেভেনে একটা সরকার ছিল, আবার নির্দলীয় সরকারও ছিল। তাদের অধীনেও কমিশন থাকে। এখন যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা আছে, আমরা চেষ্টা করব ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। বিএনপি যদি ঘোষণা দিয়েও থাকে (নির্বাচনে না আসার ব্যাপারে) তাদের কি আমরা আহ্বান জানাতে পারব না? কোনো কিছুই শেষ নয়। আমরা তাদের চা খেতে আমন্ত্রণ জানাতেও পারি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের মাঠ উত্তপ্ত। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কমিশন একা তৈরি করতে পারে না। পলিটিক্যাল লিডারশিপ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলিয়েই কিন্তু হয়। কিন্তু আমরা যদি মুখ ফিরিয়ে থাকি তাহলে দূরত্ব বাড়বে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাউকে না কাউকে অহংকার বাদ দিয়ে আলোচনা করতে হবে। নির্বাচনে দলীয় কর্মী থাকে, তারা ভোটারদের নিয়ে যায়। তাদের যে ভূমিকা নেই তা নয়, তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদি গ্রাউন্ড লেভেলে নির্বাচন ব্যবস্থা দুর্বল হয় তাহলে সমস্যা তৈরি হয়। আমরা সবাইকে নির্বাচনমুখী করতে চাই। ভোট ভোটের নিয়মে হবে। আগের রাতে হতো কি না জানি না। তবে আমরা সেদিকে যেতে চাই না। যদি দেখেন আমরা সেটি করেছি আপনারা তখন বলবেন। যদি মানুষের আস্থা বিনষ্ট হয় তাহলে সেটি ফেরানোর চেষ্টা কি আমরা করব না? আমাদের আপনারা পর্যবেক্ষণে রাখুন, আমরা সেখানে বাধা দেবো না। রাজনৈতিক দলগুলো একটি চুক্তিতে আসতে পারে যে তারা কেন্দ্রে কোনো সহিংসতা করবে না, সংঘাত তৈরি করবে না।আন্তরিকভাবে চেষ্টার কোনো ঘাটতি থাকবে না। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব। নির্বাচনের সময় অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করব। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।