৭৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, একদিনে (২৬ ফেব্রুয়ারি) রেকর্ড এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ। সবমিলিয়ে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট প্রায় শতভাগ পূরণ করতে পেরেছি। নতুন করে টিকা কর্মসূচির সময়সীমা আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সাউথইস্ট এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। আমরা করোনা মোকাবিলায় সফলতা পেয়েছি। এর পেছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। হাসপাতালে ২০টি শয্যা করোনার জন্য আলাদা করতে হয়েছে। ল্যাব, অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনসহ টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই টিকা নিয়ে অনিহা দেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় টিকা না নিতে আন্দোলন, ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু আমাদের জনগণ টিকা নিয়েছে, যে কারণে আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের অনেক কাজ করতে হবে। দেশে অংক্রামক রোগ বেড়েছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আপনাদের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধ করতে হবে। প্রায় লক্ষাধিকের ওপর পরীক্ষা দিয়ে চার হাজারের মতো উত্তীর্ণ হয়েছেন। এটা বিশাল অর্জন। এখন নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে ভালো সেবা দেবেন, এটাই আপনাদের কাছে চাওয়া। ভালো কাজ করলে উন্নতি আর সফলতা আপনাদের পেছনে দৌড়াবে। মানুষের জন্য কাজ করলে সুনাম হবে, পাশাপাশি আল্লাহর রহমতও আপনাদের ওপর থাকবে।  গ্রামের মানুষের বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেওয়ার সাধ্য নেই, আপনাদেরই তাদের সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকদের মন হবে উদার, সেবার। আপনাদের কাছে বড়-ছোট থাকবে না। আপনারা দেখবেন কার রোগ বড়, কার ছোট।