রহমত ডেস্ক 26 February, 2022 09:32 PM
ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির ‘মাদকের ভয়াবহতা, যুব সমাজের নৈতিক সংকট-সমাধানে করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বক্তাগণ বলেন, কুরআনের সূরা আল-মায়েদার ৯০নং আয়াত আল্লাহ সরাসরি ঘোষণা করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ সুতরাং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের মানুষের ঈমান আমল ধ্বংসের এ জাতীয় কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে গোলটেবিল বৈঠক থেকে ৩টি দাবি পেশ করা হয়। যথা: ক. দেশের প্রকৃত উন্নয়নে যুব সমাজ গঠনে সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, খ. সুখি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ দিতে হবে, গ. কুরআন ও হাদিসের আলোকে হারাম হালাল নিষিদ্ধ বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। মুসলিম প্রধান দেশে সাধারণ মানুষের প্রকৃত চাওয়া পাওয়া প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে আরো সচেতন হতে হবে।
আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের এ গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ দাবি জানান। ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানি, ড. মুফতি আবু ইউসুফ খান, নর্দান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের ডীন প্রফসর মাহবুবুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, প্রফসর ড. আব্দুল মান্নান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মিয়াজী, ড. মুফতি জাকারিয়া নুর, অধ্যক্ষ মুফতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মদের লাইসেন্স বাতিল করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সকল মুসলমানের প্রতি উদাত্ব আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতিক বলেছেন, প্রয়োজনে দেশের সকল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মদের লাইসেন্স ও অনুমোদন রুখে দিতে হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ২১ বছরের ছেলেদের মদের লাইসেন্স ও ১০০ জন লাইসেন্সধারীদের জন্য মদের বার অনুমোদন দিয়ে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মদের লাইসেন্স দেয়ার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকার বিরত না হলে দেশের জনগণ গভীর সংকটে পড়বে। তিনি মুসলিম প্রধান দেশের সরকারকে অবিলম্বে এ ধরনের ঘৃণিত এবং হঠকারি দেশ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানান। প্রয়োজনে দেশের সকল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মদের লাইসেন্স ও অনুমোদন রুখে দিতে হবে। তিনি মদের লাইসেন্স বাতিল করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সকল মুসলমানের প্রতি উদাত্ব আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানেনা এমন লোক পৃথিবীতে খুব কমই আছে। মাদকের নেশায় কেউ একবার আসক্ত হয়ে পড়লে ঐ ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন। তাই এ ব্যাপারে মা-বাবা ভাই-বোন সহ পরিবারের সদস্যদের সচেতন হওয়া জরুরি। মাদকদ্রব্য মানুষের দৈহিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে। সেই সাথে মাদক গ্রহীতা নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা সৃষ্টি করে। মূলত, ইসলাম কল্যাণমূলক পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এজন্য ইসলাম মাদক ও নেশাদ্রব্য গ্রহণকে হারাম করেছে। সরকারের প্রতি মদের এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বিশেষ আহ্বান জানান তিনি।