রহমত ডেস্ক 25 February, 2022 08:21 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যাকাণ্ডকে সুদূরপ্রসারি ষড়যন্ত্র। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিলো জাতির জন্য একটি শোকাবহ দিন। একই সাথে একটি আতঙ্কেরও দিন। এই দিনে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ সেনাবাহিনীর ৫৬ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতির যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকালে বনানী সামরিক কবর স্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে (২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) শহীদদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অবঃ) ফজলে এলাহি আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) হাসান নাসির, কর্ণেল (অবঃ) কামরুজ্জামান, মেজর (অবঃ) এম এম হাসান, মেজর (অবঃ) কোহিনুর আলম নুর, মেজর (অবঃ) আজিজ রেজা, শামীমুর রহমান শামীম, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের এতো কর্মকর্তা চলে যাননি। কিন্তু এখানে ৫৬ কর্মকর্তা চলে গেলেন। বিডিআরের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তীকালে ভেঙে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাজার হাজার বিডিআরের কর্মকর্তাদের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে কারা এর কোনো তদন্ত এখনো হয়নি। পিলখানার এই দুর্ঘটনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে ছিলো। তার রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। এটা কোনো বিদ্রোহ নয়। এর মূল কারণ ছিল সেনা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এতো বছর পরও প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। এর পিছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান তিনি।