| |
               

মূল পাতা জাতীয় সর্বস্তরে বাংলার পাঠ্যসূচি চালুর দাবি


সর্বস্তরে বাংলার পাঠ্যসূচি চালুর দাবি


রহমত ডেস্ক     20 February, 2022     08:29 PM    


এদেশের ভাষা আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীসমাজও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা সংগ্রামের ধারায় এদেশের মানুষের চেতনায় যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মানবতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ধর্ম নিরপেক্ষতা বিকশিত হয় তার পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে।সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতে একমুখী বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, যুক্তিবাদী, জেন্ডার সংবেদনশীল, কুসংস্কারমুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেম ও মানবাধিকারের মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষানীতি ও পাঠসূচি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) রবিবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

তারা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধিকারের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির মাধ্যমে আমাদের জাতীয় স্বাধিকারের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ চেতনাকে ধারণ করা ও রক্ষা করা, নারী-পুরুষ তথা সব বাঙালির কর্তব্য। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার নানা সঙ্কট, দুর্নীতি, শিক্ষা কার্যক্রমে সাম্প্রদায়িকতা, জেন্ডার বৈষম্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বিনষ্টসহ সুকৌশলে মৌলবাদী অপশক্তির প্রতিফলন, পাঠ্যসূচিতে ভুল-ভ্রান্তি, অনিয়ম শিক্ষা কার্যক্রমকে নানাভাবে ব্যাহত করছে যা শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের আহ্বান জানান তারা।

তারা আরো বলেন, মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাসহ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করে নারী নির্যাতনমুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।  মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আন্দোলনে যাদের আত্মদান রয়েছে, মহিলা পরিষদ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্মরণ করছে।