রহমত ডেস্ক 16 February, 2022 10:38 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যাদের জন্ম সামরিক জান্তার গর্ভ থেকে, তারা এখন মানুষকে গণতন্ত্র শিখায়। তারাই ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধু সপরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনী স্থান দিয়ে পবিত্র সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল। সেই বেহায়ারা আবার আমাদের দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের কথা বলে। যারা ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন একটি তথাকথিত নির্বাচন করেছিল। সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করেছিল বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল। যে নির্বাচনটিতে তাদের কর্মীরা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে যায়নি, সেই নির্বাচনে ২৭৮টি আসন তারা ঘোষণা দিয়ে রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেদিন যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করতে গিয়েছিলেন তাদের ১৪জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাসিক নির্বাচন পরিচালনায় টিমের সদস্য সচিব মির্জা আজমের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ প্রমুখ। সভার শুরুতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে ‘লীগের পক্ষ থেকে মেয়র আইভীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে জানানো হয়। এরপর সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে আ’লীগকে ফুলেল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের নির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
নানক বলেন, সেই ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল রশিদকে পর্যন্ত সেই মহান জাতীয় সংসদে সেদিন নির্বাচন করে এনে মহান জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল। সেই বেহায়ারা আজকে আমাদেরকে ভোট শিখায়। সেই বেহায়ারা যারা যাদের জনক হল যাদের স্রষ্টা হল সামরিক ছাউনীতি উর্দি পোশাক পরে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল, সেই সেনা ছাউনীতে বসে সকল সেনা আইনকে উপেক্ষা করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তথাকথিত হ্যাঁ-না ভোট করে সেই তারা বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র শিখায়, ভোট ব্যবস্থা শিখায়, নির্বাচনের ব্যবস্থা শিখায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫০বছরে যে আইন প্রণয়ন হয়নি, একটি নির্বাচন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়নি সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করেছিলেন আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করে সেটির একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন। এই নির্বাচন কমিশন আইন গঠন করতে গিয়ে বিরোধী দলের নেতারা পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন এবং তারা সংশোধনী এনেছে। সেই সংশোধনী আঙ্গিকে যে সংসদে খসড়া বিল, সেই খসড়া বিলের যে নামাকরণ ছিল তা বিরোধী দলের প্রস্তাবে সেই নামাকরণ পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির কাছে একটি বার্তা গিয়েছে, যে বার্তার কারণে ওই পরাজিত শক্তিরা উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। সেই উন্মাদনায় এখন ওদের কিছুই ভাল লাগে না। কাজেই ভাল লাগে না, এই ঔষধ আমাদের কাছে নেইে কিন্তু জনগণের কাছে রয়েছে। এই দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও ওদেরকে প্রত্যাখান করবে। কারণ ওদের দল হয়ে গেছে মাউত ছাড়া হাতি। সে দলের কোনো নেতা নেই, দলটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাই তারা এখন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।