| |
               

মূল পাতা জাতীয় রমজানে চালের দাম বাড়বে না : খাদ্য সচিব


রমজানে চালের দাম বাড়বে না : খাদ্য সচিব


রহমত ডেস্ক     16 February, 2022     03:29 PM    


খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেছেন, রমজান উপলক্ষে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, চালের দাম বাড়বে না। কারণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। মার্চ মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে। ওই সময় চালের দাম বাড়বে না। আমরা যদি ওরকম অবস্থা দেখি তাহলে ওএমএস আরও বাড়াবো। খাদ্যের ব্যাপারে তো সরকারের কার্পণ্য নেই। খোলা বাজারে বিক্রিটা আরও বাড়াবো। যদি প্রয়োজন হয় ভোক্তার স্বার্থে সরকার চাল আমদানি করবে। আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্য সচিব বলেন, তবে আমরা এখনই আমদানিতে যাচ্ছি না এই কারণে যে...কে বা কারা যেন প্রমাণ করতে চাচ্ছে এত খাদ্য উদ্বৃত্ত বলা হচ্ছে, স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হচ্ছে, তারপরও তো আমদানি চলে। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার-ইউএসডিএ বলছে, আমাদের উৎপাদন ভালো, তারপর তারা বলছে আমদানিও করতে হবে। আমরা চাচ্ছি আমদানি না করে আমরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারি, তাহলে আমরা এটা এস্টাবলিস্ট করতে পারবো, আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুত আছে। এরপরও মিলাররা আমার কাছে চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার মানে কী? মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। এটা কমেই যাবে। ধান উঠলে তো আরও কমবে। কোনো দৈব-দুর্বিপাক না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় বোরো চাল বাজারে চলে আসবে। ফলে তো ওরকম অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা নেই। বিভিন্ন পর্যায়ে দাম বাড়ছে। আমি মনে করি এটা কন্ট্রোল হবে সাপ্লাই (সরবরাহ) বাড়ানোর মাধ্যমে।

তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি, ত্রাণ মন্ত্রণালয় আরও কিছু প্যাকেজ হিসেবে রোজার মাসে দেবে, আগে থেকেই শুরু করবে। পরিবার প্রতি যেটা গত বছর প্রধানমন্ত্রী আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন ৩৫ লাখ পবিারকে। এবার এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। কাজেই সরকার আছে, কোনোভাবেই যেন নিম্ন আয়ের বা যারা ভালনারেবল তাদের যাতে কোনো কষ্ট না হয়। আপনারা, আমরা যারা আছি তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে সরকার। করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকে চালের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মোটা চালের দাম বাড়েনি বরং আরও কমেছে। একটু বাড়ার টেন্ডেন্সি ছিল। আমাদের ৭০৫টি ওএমএস কেন্দ্র ছিল, এখন আমরা দেশব্যাপী দুই হাজারের বেশি কেন্দ্রে ওএমএস চালাচ্ছি। মাঝখানে আমরা পৌর এলাকায় ওএমএস বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সর্বকালের সর্বোচ্চ ওএমএস সেন্টার এখন আছে। তারপরও দেখছি চালের দাম কমছে না।মোটা চালের দাম গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি যা ছিল, এ বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সেটা থেকে এক টাকা কম। মাঝারি চালের দাম দুই টাকা কমেছে। আর নাজিরশাইল যেটা ভদ্র লোকেরা খায়, সেটার দাম গত বছরের তুলনায় সাড়ে তিন টাকা বেড়েছে। মিনিকেট যেটা আমরা মধ্যম আয়ের লোকেরাও খাই, সেটার দাম এক টাকা কমেছে। প্যাকেট আটার দাম গত বছরের তুলনায় আট টাকা বেড়েছে। খোলা আটার দাম সাড়ে তিন টাকা বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি চাল যদি কেউ অবৈধভাবে রেখে থাকে, সেটা যাতে বেরিয়ে আসে। আমরা কিন্তু সেই রকম কোনো নমুনা পাচ্ছি না। এটা আমরা সকল পর্যায়ের সকলকে সেনসেটাইজ করেছি, আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার আছেন। বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- সবাই মিলে চেষ্টা করে আমরা কোথাও এভাবে পাচ্ছি না যে, অতিরিক্ত মজুত করে কেউ দুর্ভোগ তৈরি করছে। সরকারিভাবে সাত লাখ ২০ হাজার টন আমন ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ছয় লাখ ৩০ হাজার টন কেনা হয়ে গেছে। বাড়তি টার্গেট দিয়েও আমি কিন্তু অর্জন করতে পারছি। এর অর্থ হলো যে মোটাচাল আমি কিনি তার দাম বাড়েনি। আমি স্বীকার করবো যে, চিকন চালের দাম বেড়েছে।