বিএনপি নাম না দিলেও শক্তিশালী কমিশন হবে : কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নাম জমা না দিলেও সার্চ কমিটিতে যে নাম এসেছে, তাতে ভালো নির্বাচন কমিশন-ইসি গঠন সম্ভব হবে। আমরা আশা করি, সার্চ কমিটি এমন যোগ্য ব্যক্তিদের নাম জমা দেবে, যেখান থেকে আমরা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন পাবো। যে কমিশন জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনা করবে, যা বিশ্বে প্রশংসিত হবে। নির্বাচন বর্জন করে, আন্দোলন করে বিএনপি নিজেদের ক্ষতি করেছে, জাতির ক্ষতি করেছে। যে কোনো বিষয়ে আলোচনা বা সংলাপের বিকল্প নেই। ইউক্রেন নিয়ে এতো উত্তেজনার মধ্যেও পুতিন ও বাইডেন কথা বলেছেন। আর বিএনপি সংলাপ আলোচনা বর্জন করে যাচ্ছে, যা অরাজনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণ।

আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট অঞ্চলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আয়োজিত মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।  সভায় সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট অঞ্চলের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সিলেট অঞ্চল/বিভাগে কৃষির সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক কাজী মজিবুর রহমান। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলের কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে ও বিশাল এলাকার পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে কাজ চলছে।  বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ইতোমধ্যে ২২৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সিলেটের হাওর, টিলা ও সমতলে কৃষির সম্ভাবনা অনেক। অনেক জমিও পতিত থাকে। এসব পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, টিলাতে কীভাবে কমলা, জাম্বুরা, কফি, কাজুবাদামসহ ফলের চাষ করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে। বিএনপি নাম জমা না দিলেও সার্চ কমিটিতে যে নাম এসেছে, তাতে ভাল কমিশন গঠন সম্ভব হবে। নির্বাচন বর্জন করে, আন্দোলন করে বিএনপি নিজেদের ক্ষতি করেছে, জাতির ক্ষতি করেছে।

সিলেট অঞ্চলের কৃষির সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে উপস্থাপনা করেন উপ-পরিচালক কাজী মজিবুর রহমান। উপস্থাপনায় জানানো হয়, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় মোট জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৫০ হাজার ৫৩২ হেক্টর। চাষযোগ্য বা ফসলী জমি রয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৪ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমিই অর্ধেক অর্থাৎ ৪৯ শতাংশ। ফসলের নিবিড়তা ১৬০ ভাগ, যা দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে কম। অন্যদিকে পতিত জমি রয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৯ হেক্টর।